নিউজ ডেস্ক ::নবদ্বীপ মানেই শ্রীকৃষ্ণে উৎসব ভূমি। ১৪ তারিখ দোলের দিন সারা শহর জুড়ে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৪ মার্চ দোল উৎসব, তথা গৌর পূর্ণিমা দেশ জুড়েই পালিত হবে যথাযথ মর্যাদায়। হেরিটেজ শহর নবদ্বীপ ধামে এই উৎসবকে ঘিরে থাকে এক আলাদাই উন্মাদনা। একাধারে যেমন বসন্তের আগমনে সকলে রং এর উৎসবে নিজেদের রাঙিয়ে তোলে, পাশাপাশি চৈতন্য মহাপ্রভুর শুভ আবির্ভাব তিথিকেও যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয় নবদ্বীপ শহরে। আর অন্যান্য উৎসব অনুষ্ঠানের থেকেও এই দোল উৎসবে নবদ্বীপে ঘটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বহু বিদেশি পর্যটক তথা ভক্তের সমাগম। নবদ্বীপ শহরে কমবেশি আনুমানিক পাঁচশত মঠ মন্দির আছে, আর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন কমবেশি প্রায় সকল মঠ মন্দিরেই হয়ে থাকে। সারাদিন ধরে চলে ভক্তদের নাচ-গান ও পথ পরিক্রমা। কৃষ্ণ প্রেমে মাতোয়ারা থাকেন ভক্তেমন্ডলী।
অন্যরকমভাবে মহাপ্রভুর শুভ অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় শহরের মধ্যস্থলে থাকা নবদ্বীপ ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দিরে। নবদ্বীপ ধামেশ্বর মহাপ্রভু মন্দিরে সভাপতি সুধীন গোস্বামী জানান গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৪০ তম শুভ আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে ৭ থেকে ৯ দিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে প্রতি বছরের মতোই। তিনি জানান গত ৯ মার্চ শ্রীমদ্ভাগত পাঠ, চৈতন্য চরিতামৃত পাঠ দিয়ে শুরু হয়েছে অনুষ্ঠানের। এর পর প্রতিদিন চলছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, যেমন বৃন্দাবন ঘরানার নৃত্য, ওড়িশি নৃত্য, গত ১২ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়েছে যাত্রাপালা, ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মহা অভিষেক। তিনি আরও জানান মা বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পিতা সনাতন মিশ্রের সেবায়েত রাজ রাজেশ্বরী যে শিলা আছে, সেই শিলার উপর ষোড়শোপচারে এই অভিষেক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়, ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়ে থাকে। সকলে মহা প্রসাদ গ্রহণ করে। ভক্তিমূলক গানে দোল যাত্রার সারা দিন গমগম করেছে নবদ্বীপ।
