নিউজ ডেস্ক ::মনে প্রতিজ্ঞা ও মাথায় প্রতিভা না থাকলে সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম করা যায় না। আর সেই প্রতিভার জোরেই শান্তিপুরের অমৃত দেবনাথ এখনো সকলের প্ৰিয়।
বিশ্বকর্মা গণেশ জগদ্ধাত্রী লক্ষ্মী কালী দুর্গা সমস্ত পূজাতেই তার বরাত চলে সারা বছর ধরে। বাবা তাঁত শ্রমিক ছিলেন, মা স্ত্রী এবং এক সন্তানকে নিয়ে তার পরিবার এখন সকলেই মিলেমিশে কাজ করে গড়ে তুলেছেন শিল্পালয়। মোটা কাগজ কেটে তার ওপর থার্মোকল বসিয়ে মহিলাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া ছোট ছোট খণ্ডাংশ জুড়ে অসাধারণ প্রতিমার মুকুট এবং সজ্জা নির্মাণ করেন তিনি। শুধু তাই নয় তার অধীনে কাজ করেন এখন বর্তমানে ছয় জন মহিলা, হচ্ছে তারাও সাবলম্বী। শুধুই প্রতিমার মুকুট নয়, সঙ্গে অনেক প্যান্ডেল সজ্জা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্পকর্ম করেন পুরো পরিবার মিলে।
যদিও প্রথম জীবনে তিনি একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করতেন। কিন্তু কোভিদের সময় তা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকেই এই লাইনে আসা। মোটা কাগজ কেটে তার ওপর থার্মোকল বসিয়ে মহিলাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া ছোট ছোট খণ্ডাংশ জুড়ে অসাধারণ প্রতিমার মুকুট এবং সজ্জা নির্মাণ করেন তিনি। বিভিন্ন সাইজের রংবেরঙের ছোট পাথর জড়ি চুমকি লেস সংগ্রহ করতে হয় কৃষ্ণনগর কিংবা কলকাতার বাজার থেকে বিশেষ ধরনের আঠা প্রস্তুত করে তা দিয়ে নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত অথবা উদ্যোক্তাদের দেখানো হুবহু করে দিতে পারেন তিনি। তবে এ বিষয়ে যদি সরকারি সহযোগিতা পান তাহলে ৬ জন মহিলার কর্মসংস্থানের সংখ্যাটা গিয়ে হয়তো ঠেকবে অনেক দূরে। এখনো দেখার ভবিষ্যৎ তাদের কোন দিকে নিয়ে যায়!!
