মুখ্যমন্ত্রী বিদেশে থাকাকালীন রাজ্য চালাবেন কে?

নিউজ ডেস্ক ::সাধারণ নিয়ম হলো যখন কোনো মুখ্যমন্ত্রী বাইরে জান তখন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন উপমুখ্যমন্ত্রী। যদি রাজ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী না থাকেন সেই ক্ষেত্রে কোনো প্রবীণ দায়িত্ববান মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়ে জান। কিন্তু আমাদের রাজ্যে কোনো উপমুখ্যমন্ত্রী নেই। তার উপর এমন কোনো মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে পান নি, যাঁর উপর তিনি সমস্ত দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারেন। অগত্যা প্রশাসনের আধিকারীকেরাই ভরসা। আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন বিবেক কুমার, প্রভাত মিশ্র, নন্দিনী চক্রবর্তী, পুলিশদের মধ্যে রয়েছেন রাজীব কুমার ও মনোজ ভর্মা। আগামী ২২ মার্চ, ফিরবেন আগামী ২৯ মার্চ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। এজন্য এই আটদিন রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখভালের করতে প্রশাসন এবং মন্ত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন কার কী দায়িত্ব। কোনও বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে, কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন, তা বুঝিয়ে দিলেন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেখান থেকেই জানিয়ে দেন, রাজ্যের প্রশাসনিক বিষয়গুলো দেখার জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে দিচ্ছেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি শেষ বিদেশে গিয়েছিলেন ২০২৩ সালে। এই সফরটাও খুবই ছোট। গোটা সফরসূচি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাতায়াতে ২টো দিন পুরোপুরি লাগবে। একদিন রবিবার আছে। চারদিন মাত্র প্রোগ্রাম। চারদিনের মধ্যে আমাদের ইন্ডিয়া অ্যাম্বাসির অনুষ্ঠান রয়েছে, বিজনেস মিটিং রয়েছে, ২৪ তারিখ ইন্ডিয়া হাই কমিশনে অনুষ্ঠান রয়েছে। ২৫ তারিখ বিজিবিএসের অনুষ্ঠান, ২৬ তারিখ জিটুজি-র অনুষ্ঠান, ২৭ তারিখে অক্সফোর্ডে অনুষ্ঠান রয়েছে। ২৮ তারিখ ফেরত আসব।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা এখানকার অফিসারদের সঙ্গে সবসময়েই যোগাযোগ রাখি। আমার সঙ্গে চিফ সেক্রেটারি যাচ্ছেন, আমাদের ফোন সবসময়ই খোলা থাকবে। যে কোনও সময়েই যোগাযোগ করা যাবে। তবে আমি কয়েকজন অফিসারকে নিয়ে একটা স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি। তাঁরাই আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন, যদি কোনও প্রয়োজন হয়। তাঁরা প্রত্যেকদিন মনিটারিং করবে। জেলা-ব্লকগুলোকে দেখে রাখবে।” একইভাবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম- এই পাঁচজন মন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রীদের জন্য একটি টাক্স ফোর্স গঠন করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *