নিউজ ডেস্ক ::বাংলাদেশের মাথায় বসে আছেন মহম্মদ ইউনূস। বিশ্বাসঘাতক ইউনূসকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মনে করালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জেহাদিদের অঙ্গুলিহেলনে বাংলাদেশকে ক্ষতির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন ইউনূস। হাজারো হিংসাতেও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থেকেছেন ইউনূস। ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে তাই চিঠি লিখলেন মোদী। শুভেচ্ছা তো বটেই, সঙ্গে জানালেন বাংলাদেশের প্রতি ভারতের অবদানের কথাও।
এপ্রিলের শুরুতেই থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে আয়োজিত ষষ্ঠ BIMSTEC শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ইউনূসকে মোদীর চিঠি নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। চিঠিতে মোদী উল্লেখ করেন, ভারত ও বাংলাদেশের মিলিত ইতিহাস ও দুই দেশের নানা লড়াইয়ের প্রতীক বহন করে এই জাতীয় দিবস। এর উপর ভিত্তি করেই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
একে অপরের স্বার্থসিদ্ধি ও পারস্পারিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে দুই দেশেই শান্তি, স্থিতাবস্থা ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে ভারত আজীবন বদ্ধপরিকর বলে চিঠিতে জানান মোদী। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ভারতের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন মোদী। এতদিন দুই দেশ যেভাবে পারস্পারিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে নিজেদের পুরোনো সম্পর্ক মজবুত করে রেখেছিল, তাও জানান মোদী। ইউনূসের জমানায় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকতে বসেছে, তাও পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হল চিঠিতে।
জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহবুদ্দিনকে চিঠি লেখেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে ভারতের সমর্থন রয়েছে বলে জানান তিনি। চিঠিতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সম্পর্ক। ব্যবসা বাণিজ্য, বিদ্যুৎ শক্তি, শিক্ষা থেকে শুরু করে সংস্কৃতির আদানপ্রদানে ভারত ও বাংলাদেশ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ভারতের প্রতিবেশী হিসেবে অগ্রাধিকারের তালিকাতেও রয়েছে বাংলাদেশ।”
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে কাকুতি মিনতি করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। নয়াদিল্লির কাছে এই মর্মে আবেদনও জানিয়েছে ঢাকা। থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে আয়োজিত ষষ্ট BIMSTEC শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে চান ইউনূস। বাংলাদেশের তরফে অনুরোধ আসা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বাংলাদেশের অনুরোধ নিয়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছুই বলল না ভারত। নয়াদিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী স্পষ্টতই জানান, বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে।
