দিল্লি বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা, বিরোধী বিধায়কদের বহিষ্কার

নিউজ ডেস্ক ::শুক্রবার, ২৮ মার্চ, দিল্লি বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। স্পিকারের নির্দেশে, বিরোধী দলনেতা আতিশীসহ বেশ কয়েকজন আম আদমি পার্টির (এএপি) বিধায়ককে মার্শালের সাহায্যে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এএপি বিধায়করা ‘মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা’-র আওতায় ২,৫০০ টাকার আর্থিক সাহায্য নিয়ে সরকারকে প্রশ্ন করেন। তারা পোস্টার ও লিফলেট হাতে নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘‘কেন বিজেপি সরকার মহিলাদের মাসিক আর্থিক সহায়তা দেয়নি, যা তারা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল?’’

সরকারের প্রতিক্রিয়া ও অশান্তির সূত্রপাত

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এএপি বিধায়ক সুরেন্দ্র কুমার সরকারের কাছে জানতে চান, এই প্রকল্প কবে চালু হবে। এর জবাবে, ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রবেশ ভার্মা জানান, চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই যোগ্য মহিলাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।

তবে, উত্তরে অসন্তুষ্ট হয়ে, এএপি বিধায়ক সঞ্জীব ঝা বিধানসভায় একটি পোস্টার উঁচিয়ে ধরেন। এই ঘটনায় স্পিকার তাকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একে একে বিরোধী দলনেতা আতিশী, মুকেশ আহলাওয়াত, জারনাইল সিং, বিশেষ রবি ও প্রেম চৌহানকেও বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

বিজেপির পাল্টা আক্রমণ

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির বিধায়ক ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রামবীর সিং গুপ্ত দাবি করেন, এএপি সদস্যরা সংসদে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন। তার মতে, তারা দিল্লি পরিবহন কর্পোরেশন (DTC)-এর কর্মক্ষমতা নিয়ে CAG রিপোর্টের বিতর্ক এড়াতে চাইছিলেন।

এই বিশৃঙ্খলার কারণে বিধানসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনা আসন্ন নির্বাচনের কৌশল এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রতিফলন ঘটায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *