নিউজ ডেস্ক ::বামপন্থী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তিনি রাজনীতির শিরোনামে আসেন। নিজেকে তিনি ‘চাষার ব্যাটা’ বলেই পারিচয় দিতেন। শুক্রবার সকালে প্রাতঃরাশ সেরে ওঠার পর কাশতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ। পরিবারের লোকজনের চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। ‘চাষার ব্যাটা’র মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। ১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন রেজ্জাক মোল্লা। ১৯৭৭ সালে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা থেকে জিতে রাজ্যের মন্ত্রী হন। বাম আমলে মন্ত্রী হিসাবে ভূমি সংস্কার, সুন্দরবন উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। ২০১৪ সালে দলবিরোধী কথা বলার কারণে তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিএম।
এর পরেই তিনি রাজনীতির ‘ঘর’ পরিবর্তন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে প্রবেশ করেন। ২০১৬ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার ভোটে জয়ীও হন রেজ্জাক মোল্লা। তৃণমূলের শাসনকালে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। রেজ্জাক মোল্লার প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মন্ত্রীর কর্মজীবনের প্রশংসা করে তাঁর পরিবারবর্গ, অসংখ্য অনুগামী ও শুভানুধ্যায়ীকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সতীর্থ ছিলেন। তবে তাঁর সঙ্গে মতবিরোধও ছিল। তবে তা ছিল রাজনৈতিক মত পার্থক্যর বিরোধ। তাঁর সাথে কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ কারোর ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। বেঁচে থাকাকালীন প্রায়শয়ই রেজ্জাক মোল্লার মুখে শোনা যেত, মরলে ভাঙড়ের বাঁকড়ির বাড়িতেই যেন কবর দেওয়া হয় তাঁকে। পরিবার সূত্রে খবর, শেষ ইচ্ছার কথা মাথায় রেখে ওই বাড়িতেই সম্ভবত সমাধিস্থ করা হবে রেজ্জাক মোল্লাকে।
