নিউজ ডেস্ক ::মুর্শিদাবাদে যা ঘটে চলেছে, সেখানে পুরোটাই রাজনীতি দেখছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অবশ্য কোন রাজনীতি তা তিনি পরিষ্কার করেন নি। রবিবার সন্ধ্যায় শিখ ধর্মাবলম্বীদের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করে তিনি দাবি করেন, মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের পাশাপাশি আক্রান্ত মুসলিমরাও। ফিরহাদ এদিন বলেন, ‘এগুলো কিছু নয়, এগুলো সব রাজনীতি। নিশ্চিতভাবে কিছু মানুষ আক্রন্ত হয়েছেন। আমি সবাইকে বলব রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের সেবায় ব্রত হোন। এখানে রাজনীতি করাটা ঠিক না। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা হিন্দু আছেন, মুসলমানও আছেন। সব মানুষের পাশেই মানুষের দাঁড়ানো উচিত। মানবধর্ম তাই বলে।’মঙ্গলবার থেকে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলছে মুর্শিদাবাদ। যা চরম আকার ধারণ করে গত শুক্রবার।
আন্দোলনের নামে একের পর এক হিন্দুদের দোকান – বাড়ি ভাঙচুর করে লুঠ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে খুন হয়েছেন প্রতিমাশিল্পী বাবা ও ছেলে। মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগও পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। পরিস্থিতি এতটাই বেলাগাম যে শনিবার বিশেষ বেঞ্চ বসিয়ে মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিতে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টকে। তার পর সেখানে পৌঁছেছে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার পরও হিংসা পুরোপুরি থামেনি বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদের দাবি ‘গোটাটাই রাজনীতি’। মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে অবশ্য বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের দোষ ধরে বেড়াচ্ছেন। এদিকে BSF এর রিপোর্ট ওপার বাংলা থেকে পরিকল্পনা করেই এসব করা হচ্ছে।
