নিউজ ডেস্ক ::কথায় আছে, রক্ষক যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন সমাজ রসাতলে যায়। হুগলীর বৈদ্যবাটিতে অনেকটা তেমন ঘটনাই ঘটলো। ভোরবেলায় চায়ের দোকান থেকে ব্যবসায়ীকে অপহরণ। তিরিশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি। পরে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার অপহৃত ব্যবসায়ী। তবে তাজ্জব হবেন শুনে, যে এই ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন, তিনি একজন পুলিশকর্মী। অর্থাৎ, কিডন্যাপ করার অভিযোগ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানালেন খোদ সিপি। অপহরণে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর নাম অশোক দাস। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই চারিদিকে মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি পদ্মাবতী কলোনীর বাসিন্দা তারক ভৌমিক (৬৪)। তাঁর একটি চায়ের দোকান রয়েছে হুগলির পিয়ারাপুর দিল্লি রোডের পাশে। পরিবারের দাবি, সোমবার ভোরে নিজের দোকান থেকে বৃদ্ধকে একটি গাড়ি অপহরণ করে। তারপর বাড়িতে ফোন করে তিরিশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ করে বৃদ্ধের পরিবার। পুলিশ তদন্তে নামে। রাতে আবারও মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে।সেই ফোনের লোকেশান দেখে শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে অভিযুক্ত কিডন্যাপার অশোক দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অপহৃত বৃদ্ধের এক মেয়ে জানান, “আমার বাবার তো কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। তাহলে কেন এমন করল জানি না। আমি চাই দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোক দাস একজন পুলিশ কর্মী। চন্দননগর আদালতে এএসআই পদে কর্মরত।
