নিউজ ডেস্ক ::বামপন্থীদের ব্রিগেড সমাবেশে চিরকালই প্রচুর ভিড় হয়। কিন্তু প্রশ্ন, সেই ভিড় কতটা ভোটবাক্সে প্রতিফলন ঘটবে! ২০১১ পর থেকে সিপিএমের রক্ত ক্ষরণ অব্যাহত। সিপিএমের কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সংগঠনের ডাকে আজ, রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ। যদিও মাঠ ভরানোর মরিয়া লক্ষ্যে ছাত্র-যুব সংগঠন-সহ পুরো পার্টিই নেমেছে ছাব্বিশের ভোটের আজকের সমাবেশে শক্তি দেখাতে। এর আগেও ব্রিগেডে লোক এনেছে সিপিএম। কিন্তু ভোট কোথায়? চলে যাওয়া ভোট কি ফিরবে? ৫ শতাংশে নেমে যাওয়া শূন্যের রেকর্ড করা সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে কি কোনও বাড়তি অক্সিজেন পাবে আজকের সমাবেশ থেকে? কতটা ভরবে ব্রিগেড? এসব নিয়ে রাজনৈতিক চর্চার পাশাপাশি ও নানা প্রশ্নের মধ্যেই আজ ‘সিপিএমের লোক আছে ভোট নেই’ বাংলায় এই চালু কথা বদলাবে কি না আগামী ছাব্বিশের নির্বাচনে তারই যেন পরীক্ষা আজ আলিমুদ্দিনের কাছে।
এদিকে বক্তার তালিকা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায় নি। রবিবার দুপুরে সমাবেশে প্রধান মুখ হতে চলেছেন এসব সংগঠনের নেতানেত্রীরা, যাঁরা তেমন জনপ্রিয় নন। বন্যা টুডু থেকে নিরাপদ সর্দার, অনাদি সাহুরা বক্তব্য রাখবেন। পরিচিত বক্তা বলতে একমাত্র সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এছাড়া সদ্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া সিপিএম যুব সংগঠন ডিওযাই এফআইয়ের-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবার বক্তব্য রাখবেন কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত এখনও। চমক দিতে তাঁকে শেষবেলায় তোলা হতে পারে মঞ্চে। বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। ঘুঁটি সাজাতে ময়দানে নেমে পড়ছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। রাজ্য জুড়ে মেরুকরণের গোলকধাঁধায় কার্যত মাটি পাচ্ছে না বামেরা। এরই মধ্যে এবার, শ্রমজীবী মানুষকে পাখির চোখ করে, রবিবার, শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তি ফেডারেশনের ডাকে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। শনিবার তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সন্ধেয় ব্রিগেড প্রস্তুতি পরিদর্শনে যান সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “মানুষের বেঁচে থাকার যে লড়াই চলছে সেটাই আমাদের ব্রিগেড সমাবেশের মূল বার্তা। তাঁদের দাবি নিয়েই হবে ব্রিগেড সমাবেশ।”