আমেরিকার চাপে ইরান কি সরে আসছে পরমাণু অস্ত্র তৈরী থেকে?

নিউজ ডেস্ক ::ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ইরানের উপর চাপ বাড়ানো শুরু করে পরমাণু অস্ত্র না বানানো নিয়ে। এই নিয়ে ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে চায় ট্রাম্প। নানা জল্পনার পর আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি বা পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেছে ইরান। ইটালির রোমে চলছে এই আলোচনা। যা সদর্থক হয়েছে বলেই জানিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তাহলে কি বরফ গলছে দু’দেশের মধ্যে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপে কি পরমাণু অস্ত্রের দৌড় থেকে সরবে তেহরান? উঠছে এমনই প্রশ্ন। প্রথম দফায় গত সপ্তাহে ওমানে দু’দেশের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এবার দ্বিতীয় দফায় রোমে বৈঠকে বসেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের বিদেশমন্ত্রী আরাকচি। গতকাল ওমানের এক আধিকারিকের মধ্যস্থতায় ৪ ঘণ্টা কথা বলেন তাঁরা। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে আরাকচি জানান, “আমাদের বোঝাপড়া ভালো হয়েছে। গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। চুক্তির নকশা তৈরিতে এগানোর জন্য আরও বৈঠক হবে।” 

জানা গিয়েছে, সামনের সপ্তাহে ফের ওয়াশিংটন আর তেহরান আলোচনায় বসবে। বিশ্বশক্তির সমীকরণ দেখলে বোঝা যাবে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে অহরহ গবেষণা করে চলেছে ইরান। একের পর এক যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে তারা। যা চিন্তার কারণা আমেরিকা ও পশ্চিমি দুনিয়ার। তাই নানা নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছে তেহরানের উপর। সম্প্রতি সেদেশের উপর ড্রোন উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমা বিশ্ব। কিন্তু তাতে দমে যায়নি ইরান। পালটা ভয়ংকর হাতিয়ার বানিয়েছে তারা। কামিকাজে ড্রোনটিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে। যা শত্রুপক্ষের উপর আরও শক্তিশালী আঘাত হানতে সক্ষম। কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে ইরানের ইসলামিক রেভেলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) ‘মিসাইল সিটি’। যা আসলে তাদের তৃতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *