নিউজ ডেস্ক ::সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই কবিতার মতো বলতে হয়, ‘কেউ কথা রাখে নি।’ SSC কথা রাখে নি, শিক্ষামন্ত্রী। এই তীব্র গরমে গত প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে রাস্তায় বসে আছে চাকরিপ্রার্থীরা। সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক চাকরিহারা। তাঁকে দেখতে এলেন চিকিৎসক তমোনাশ ঘোষ। তাঁর পালস রেট মাপেন চিকিৎসক। সঙ্গে সঙ্গেই ওআরএস খাওয়ানো হয় তাঁকে। পাশে, মাথার কাছে বসে তাঁর সহযোদ্ধারা। চিকিৎসক যখন ওই চাকরিহারা মহিলার পালস রেট দেখছিলেন. সহযোদ্ধারা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘চিকিৎসা করতে হবে না, আমরা এখানেই মরব।’ প্রতিটি কথায় শ্লেষ ঝরে পড়ছে। কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই চাকরিহারা। চিকিৎসককে সামনে পেয়েও নিজের কষ্টের কথা বলতে থাকেন চাকরিহারারা।
ক্ষোভে ফেটে পরেছেন হাজার চাকরি প্রার্থী। উদাসীন SSC, উদাসীন রাজ্য সরকার। এক চাকরিহারা বলেন, “আমার বাচ্চাটা কী খাবে স্যর! আপনারা তো দেখছেন আমাদের অবস্থা, কিছু করুন স্যর। আমাদের বাচ্চার ইচ্ছাটাই শেষ।”ওই চাকরিহারার অবস্থা বেশ সঙ্কটজনক। চিকিৎসক বলেন, “শরীর থেকে জল বেরিয়ে গেছে প্রচুর। পর্যাপ্ত জলও রাস্তায় পাচ্ছে না। ওরা জল খেতেও পারছে না। জল খাওয়ার পর বাথরুম যেতে হলেও সমস্যা। কারণ এখানে সমস্ত বাথরুম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্বাভাবিকভাবে মহিলারা অনেক কম জল খেয়েছেন, বাথরুম যেতে পারবেন না বলে। শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিচ্ছে।”এবার হয়তো আরও অনেকেই একে একে অসুস্থ হয়ে পারবেন – চিন্তিত নাগরিক মহল।
