নিউজ ডেস্ক: সীমন্তের পাশাপাশি এ বার সিঁদুর জড়িয়ে গেল সীমান্তের সঙ্গেও৷ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার অভিযান রাঙা হল সিঁদুরের রঙেও৷ ভারতীয় সেনার ‘অভিযান সিঁদুর’ সব দিক থেকেই নজিরবিহীন৷ পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সন্ত্রাস একদিকে কেড়ে নিয়েছে সিঁথি বা সীমন্তের বৈবাহিক চিহ্ন৷ তার প্রত্যাঘাতে যে অভিযান, তার নামের সঙ্গে ‘সিঁদুর’ শব্দটা রয়ে গেল গভীর তাৎপর্য নিয়েই৷ সনাতনী মতে, সিঁদুরদানের পরই সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান৷ মাঙ্গলিক এই চিহ্ন কার্যত আনুষ্ঠানিক বিয়ের সিলমোহর৷
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর যে ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে, সেখানে শূন্যদৃষ্টি নিয়ে বসে ছিলেন হিমাংশী নারওয়াল৷ তাঁর চওড়া সিঁথিতে তখনও উজ্জ্বল সিঁদুর৷ হাতে ঝমঝম করছে ‘বিয়ের চূড়া’৷ সদ্য বিবাহিতার পাশে নিথর তাঁর স্বামী৷ বরফঢাকা হিমালয়, পাইনগাছের নিসর্গ ছাপিয়ে এই ছবিটাই হয়ে যায় পহেলগাঁওয়ের মুখ৷ তাঁর মতো আরও অনেক নববিবাহিতী ভারতীয় তরুণী ভূস্বর্গে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে জঙ্গিদের বুলেটে হারিয়েছেন তাঁদের স্বামী৷ পরিবারে সকলের চোখের সামনেই লুটিয়ে পড়েন কারওর স্বামী, কারওর বাবা, কারওর স্নেহভাজন৷ তাঁদের মৃত্যুতে হারিয়ে যায় অনেক মহিলার সিঁথির সিঁদুর৷ তাই এই অভিযানের প্রত্যাঘাতের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ হয়ে এর অভিঘাতের সঙ্গে আমজনতার গাঁটছড়া আরও মজবুত করল৷
