সমস্ত পরিবারকে হারিয়েও কোনো দুঃখ নেই মৌলনা মাসুদ আজহারের

নিউজ ডেস্ক: একেই হয়তো বলে জঙ্গি হৃদয়, কঠিন হৃদয়ের মানুষ। ভারতের প্রত্যাঘাতে প্রাণ গেছে জঙ্গি মৌলনা মাসুদ আজহারের সমস্ত পরিবারের। তার পরেও তিনি অবিচলিত। তিনি বলেন, “আমার পরিবারের সদস্যরা আল্লার অতিথি হয়েছে। আফশোস নেই, হতাশও নই।” ভারতের প্রত্যাঘাতে পরিবারের ১০ সদস্যকে হারিয়ে মন্তব্য় জইশ-এ-মহম্মদ প্রধান মৌলনা মাসুদ আজহারের। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার দুই সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার মধ্যরাতে অপরেশন সিঁদুর চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাতেই মৃত্যু হয়েছে মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের। সংসদ হামলার মূলচক্রী মাসুদকে ১৯৯৪ সালে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ভারত। কান্দাহারে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান হাইজ্যাক করে তাকে মুক্ত করে জঙ্গিরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভাওয়ালপুরে জইশের সদর দপ্তর জামিয়া মসজিদ সুভান আল্লায় হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। জানা গিয়েছে, তাতে মৃত্যু হয়েছে মাসুদের বড় বোন, তাঁর স্বামী, এক ভাগ্নে, তাঁর স্ত্রী, এক ভাইপো এবং জ্ঞাতি সম্পর্কের পাঁচ শিশুরও। এর পরেও যখন তিনি দুঃখিত নন, তখন বোঝাই যায় কোনো সংবেদনশীল মানুষের হৃদয় তার মধ্যে নেই।

মাসুদের যে প্রতিক্রিয়া একাধিক সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সেখানে সে বলেছে, “আজ রাতে আমার পরিবারের দশজন সদস্য আল্লার আশীর্বাদধন্য হয়েছে… পাঁচজন নিষ্পাপ শিশু, আমার বড় বোন, তার স্বামী। আমার ভাগ্নে এবং তার স্ত্রী, আমার ভাইপো… আমার প্রিয় ভাই (জ্ঞাতি) হুজাইফা এবং তার মা। আরও দু’জন প্রিয় সঙ্গী।” বাস্তবে বিধ্বস্ত হলেও স্বভাব মতো মুখে সেকথা আনেনি কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী। বরং বলেছে, “আফশোস নেই, হতাশও নই। বরং, আমার মনে বারবার এই কথা আসছে যে আমিও যদি এই চৌদ্দ সদস্যের সঙ্গে জন্নতের যাত্রায় যোগ দিতে পারতমা।” মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির আরও বক্তব্য, “তাদের চলে যাওয়ার সময় এসেছিল, কিন্তু আল্লা তাদের হত্যা করেননি।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *