নিউজ ডেস্ক ::বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে বিকাশভবনে যে ঘটনা ঘটলো তা সভ্যতার লজ্জা। শিক্ষকদের পেটালো পুলিশ। আহত বেশ কয়েকজন শিক্ষক। আহত হয়েছেন পুলিশকর্মীও। মুর্শিদাবাদে ঘটনার পরে কয়েক ঘন্টা পুলিশ ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়, আর শিক্ষকদের লাঠিপেটা করাতে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেন এক আইনজীবী। দুপুরের বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। রাত বাড়তেই আরও বাড়ে উত্তেজনা, আন্দোলনকারীদের উপরে লঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত এক পুলিশকর্মীও। গত রাতের এই ঘটনা নিয়ে এবার বিধাননগর কমিশনারেটের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানালেন আইনজীবী রাজনীল মুখোপাধ্যায়।
মার খেয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে এখনও বিধাননগরে মাটি কামড়ে পরে আছেন তারা। তাদের দাবি তারা যোগ্য শিক্ষক, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। রাতভর তারা বিকাশ ভবনের বাইরেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন। কোনওভাবেই আর পরীক্ষায় বসবেন না তারা, সাফ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, চাকরি ফেরত দিতেই হবে। গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে আজ ধিক্কার দিবস পালন করা হবে। নায্যভাবে চাকরি যতক্ষণ রাজ্য সরকার ফিরিয়ে দেবে না, ততক্ষণ এভাবেই বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনে চলবে বলে জানিয়েছেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ নাগরিক মহল। এদিকে সকালে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত বিকাশভবনে গিয়ে খুবই খারাপ ব্যবহার করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক ও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে।
