তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে রুল জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক ::আইনজীবীদের হেনস্থার ঘটনায় তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয় আলাদত। সোমবার কুণাল-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে রুল জারির নির্দেশ দেয় বিশেষ বেঞ্চ। এই মামলায় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “এটা খুব সিরিয়াস বিষয়। আদালত নির্দেশের পরেও কেউ মানছে না।” ঘটনা হলো, সুপার নিউমারারি পোস্ট সংক্রান্ত মামলার শুনানি কেন দ্রুত হচ্ছে না,তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, বিকাশের দুই জুনিয়র আইনজীবীদের জুতো দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য এবং স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর এই ঘটনায় প্রধান বিচারপতিকে অভিযোগ জানানো মাত্রই তিনি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মামলা গ্রহণ করেন। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কয়েক জন আইনজীবী। তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে স্থির করে দেন প্রধান বিচারপতি। এই বেঞ্চের সদস্যেরা হলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। আগের শুনানিতে বিচারপতি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের কাছে কারণ ব্যাখ্যা চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। সোমবারের শুনানিতে আদালতে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ। ফৌজদারি আদালত অবমাননা হয়েছে বলে উত্তর চায় আদালত। সেই উত্তর অভিযুক্তরা কেউ দেয়নি। বিরক্ত হয়ে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রুল জারি করে বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, ” ২ মে নির্দেশ দেওয়া হয়, তারপরেও অভিযুক্তরা কেন কেউ মানেননি?” কুণাল ঘোষের আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমার বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা আছে। হলফনামা তৈরি করেছি। আমাদের কিছু সমস্যা থাকায় হয়নি।” কুণালের আইনজীবীর বক্তব্য, সেদিন ঘটনাস্থলে কুণাল ঘোষ উপস্থিত ছিলেন না। তিনি একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *