অনুব্রতর অপরাধ ক্ষমাহীন – বলছেন বিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক ::একটা ভয়ঙ্কর অপরাধ করে তারপরে কয়েক লাইনের লেখায় ক্ষমা চাইলে কি সেই অপরাধ মিলিয়ে যায়? প্রশ্ন তুলেছে সমস্ত বিরোধী নেতৃত্ব। বোলপুরের আইসি-কে ফোনে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ তৃণমূল নেতা তথা বীরভূমের কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডলের।কথোপকথনের অডিয়ো রেকর্ডিং সামনে আনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তা নিয়ে সরব সকলেই। শাসক দলও এর তীব্র নিন্দা করে অনুব্রতকে ক্ষমা চাইতে বলেছে। অনুব্রতর দায়সারা চিঠি -‘সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য আমি সামগ্রিকভাবে সমস্ত স্তরের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’

পুলিশ অফিসারকে হেনস্থা করা ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বোলপুর থানায় তলব করা হয় কেষ্টকে। থানার নোটিস কেষ্টর কাছে। কিন্তু দল? দলের তরফে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া হয় ৪ ঘণ্টার সময়সীমা। ২ ঘণ্টার মধ্যেই অনুব্রতর সাফাই, “সত্যিই দুঃখিত। ১০০ বার ক্ষমা চাইতে রাজি।” এবার সরাসরি তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে চিঠি লিখলেন অনুব্রত। দল তাঁকে চার ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তিনি নির্দেশ পাওয়ার ৫০ মিনিটের মধ্যেই ভিডিয়োবার্তায় ক্ষমা চান। অনুব্রতর সাফাই, “আমি নিজের রাগ সামলাতে পারিনি। আমি এই কথা বলেছি। সে জন্য আমি দুঃখিত।” সেই অপরাধের কারণে শনিবার অনুব্রতকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় কেস করা হয়েছে। এখন দেখার অনুব্রতকে গ্রেফতার করার সাহস কি পুলিশ দেখাবে!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *