নিউজ ডেস্ক ::শশা এখন বারোমাস পাওয়া যায়। ফলে কৃষকদের লাভের পরিমান বাড়ে। দঃ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লকে এখন উন্নত মানের ভালো শশার চাষ হচ্ছে। লাউ প্রজাতির এই ফসলটি খুবই উপকারী। এখন সারা বছরই বাজারে শসা পাওয়া যায়। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষকদের একটি বড় অংশ এ সময় ধান চাষের পাশাপাশি শসা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মোটা টাকা লাভও করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কৃষকদের শসা চাষের জন্য কৃষি দফতর থেকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে নানা সরকারি সহায়তাও! জলনিকাশি যুক্ত দোআঁশ মাটি শসা চাষের পক্ষে খুবই উপকারী। এই মাটিতে শসা চাষের জন্য রাসায়নিক বা জৈব সার থাকে। যা ধান তোলার পর অব্যবহৃত অবস্থায় চাষের মাঠে পড়ে থেকে নষ্ট হয়। বাজারে বিভিন্ন জাতের শসার বীজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এলাকায় মূলত দু’টি জাতের চাষ বেশি হয়। মাচা শসা ও জমির শসা। শসা চাষ মূলত গ্রীষ্মকালের ফসল। ধান চাষের পরেই সেই জমিতেই শসার চাষ করা হয়। এবং ফলন যথেষ্ট হওয়ায় শশা চাষীরা খুবই খুশি।
ধান তুলে নেওয়ার পরেই শসার বীজ ছড়িয়ে দিয়ে থান তৈরি করে এই চাষ করা হয়। বীজ থেকে চারা বের হওয়ার পর মূলত মাটি আলগা করা এবং ঘাস পরিষ্কার করা হয় । ছোট ছোট বাঁশ ও কঞ্চি দিয়ে মাচা এই চাষের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সত্যি কথা বলতে কি শসা চাষের জন্য মূলত তেমন খুব একটা সারের কোনও প্রয়োজন হয় না। ধান চাষের পর জমিতে যে রাসায়নিক ও জৈবিক সার পড়ে থাকে মূলত ওই সার দিয়েই শসার ফলন সম্ভব। এছাড়া, একান্ত প্রয়োজনে কম-বেশি জৈবিক সার প্রয়োগ করা যেতে পারে। ছড়ানেবীজ থেকে শসার চারা জন্মানোর ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে কিছু জৈবিক সার দেওয়া যেতে পারে।
