নিউজ ডেস্ক ::উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সামসেরনগরের কালিতলা অঞ্চলে খাঁড়ির এক পাশে বিস্তৃত সুন্দরবনের জঙ্গল, আর অন্য পাশে ঘন লোকালয়। খাঁড়ির ওপারে কেবল জাল পেতে তৈরি সীমারেখা। এই অঞ্চলেই সন্ধ্যা বা ভোরে মাঝে মাঝে দেখা মেলে হরিণের। আর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে নৌভ্রমণে চোখে পড়ে যেতে পারে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারও। দক্ষিণরায়ের দেখা না পেলেও মন খারাপ করার কারণ নেই। কারণ এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আপনাকে সহজেই মুগ্ধ করে দেবে। অচেনা সুন্দরবনকে কাছে থেকে জানার সুযোগ পাবেন এই জায়গায় ঘুরতে এলে। নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিতে পারবেন দুটো দিন। ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের মাঝে কিভাবে সময় কেটে যাবে, বুঝতে পারবেন না। এই এলাকার প্রধান জীবিকা মাছ, কাঁকড়া ও অন্যান্য জলজ প্রাণী সংগ্রহ। খাঁড়ি বা নদী থেকে ঝুঁকি নিয়ে পুরুষ-নারী নির্বিশেষে নামেন রোজগারের আশায়। কারণ বন থেকে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা নিয়েও থেমে থাকে না তাঁদের জীবনযুদ্ধ।
সামসেরনগরের পাশেই কুঁকড়েখালি নদী পেরিয়ে রয়েছে কুঁকড়েখালি জঙ্গল, যা একেবারে লোকালয়ের সীমানায়। সেখানে কয়েকশো পরিবার জঙ্গলঘেঁষা পরিবেশে বসবাস করে, যেখানে প্রকৃতি, রোমাঞ্চ ও ঝুঁকি—সব মিলেমিশে তৈরি হয়েছে এক অপূর্ব ছন্দ। মহানগর কলকাতা থেকে বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে মালঞ্চে পৌঁছে, সেখান থেকে টাকি রোড হয়ে হাসনাবাদ এবং তারপর লেবুখালী রোড ধরে পৌঁছে যাবেন বসিরহাট মহকুমার ফরেস্ট রেঞ্জ এলাকার সামসেরনগরে। ট্রেনে যেতে চাইলে শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরেই হাসনাবাদ পৌঁছে সেখান থেকে বোট বা লঞ্চে সামসেরনগর পৌঁছনো যায়। আবার বারাসাত থেকেও বাসে সরাসরি যাওয়া সম্ভব।
