নিউজ ডেস্ক ::বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত এই বালুচুরী শিল্পের নাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। দুর্গা পুজোর আগে বিভিন্ন রকমের নতুনত্ব বালুচুরী শাড়ি তৈরি হয় এখানে। এই বছরও সেই শাড়ি বানানোর কাজে ব্যস্ত বালুচুরী শিল্পীরা! ইতিমধ্যেই একটি নতুন শাড়ি তৈরি হয়েছে, যেই শাড়ির মধ্যে বিষ্ণুপুরের একটি ঐতিহ্য শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। আগেকার নবাবদের রাজমহলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার জন্য যেটি ব্যবহৃত হত, সেই বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে এই শাড়ির মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌর শহরের বাসিন্দা বালুচুরী শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় বিভিন্ন রকমের নতুনত্ব বালুচুরী শাড়ি তৈরি হয়। তিনি ১২ মাস এই কাজ নিয়েই থাকেন এবং তিনি তার চিন্তা ভাবনা দিয়ে বিভিন্ন রকমের নিত্য নতুন ডিজাইনের বালুচুরী তৈরি করেন।
পুজোর আগে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটে অমিতাভ পাল সহ বালুচুরী শিল্পীদের! প্রত্যেক বছর নতুনত্ব ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করেন এই অমিতাভ পাল। এবার পুজোতেও নতুন শাড়ি তৈরি করলেন এই শিল্পী। যার নাম রাখা হয়েছে লন্ঠন শাড়ি! কেন এই ধরনের নাম রাখা হল! আসলে আগেকার যুগে নবাবদের প্রাসাদ সাজানোর জন্য যে লন্ঠন ব্যবহৃত হত, সেই লন্ঠন এখন বিলুপ্তির পথে। এছাড়াও বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী লন্ঠন শিল্প ও এখন বিলুপ্তির পথে! তাই এই লন্ঠনকে জীবিত রাখার জন্য অথবা লণ্ঠনকে সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত দেওয়ার জন্য এই বালুচুরী শাড়ির ওপর লন্ঠন কে তুলে ধরা হয়েছে।
