নিউজ ডেস্ক ::কলকাতায় বহু বিপজ্জনক বাড়ি আছে। সেইসব বাড়ি মোটেও মানুষের বাসযোগ্য নয়। কলকাতা পৌরসভা থেকে বার বার নোটিস দেওয়া সত্ত্বেও সমস্ত বাড়ি থেকে মানুষকে সারানো যায় নি। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ ওই বিপজ্জনক বাড়িটির বারান্দায় গিয়েছিলেন এক বৃদ্ধা। আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সেই বাড়ির বারান্দা। গুরুতর চোট পান বৃদ্ধা। তবে তিনি একাই নন, ওই একই সময় আরও একজন হেঁটে আসছিলেন তিনিও গুরুতর চোট পান। এরপর এলাকাবসী আওয়াজ পেতেই দৌড়ে সেখানে যান। উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় এন্টালি থানার পুলিশ। জানা যাচ্ছে, আহতদের নাম মঞ্জু লাহিড়ী (৬৩) ও রথীন সেন (৭৯)।
এন্টালিতে ভেঙে পড়ল বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ। এর আগে মুচিপাড়া, জানবাজারে পরপর বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এরপর এন্টালিতে একই ঘটনা। এলাকায় পৌঁছেছে এন্টালি থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালির ১ নম্বর অনরাইট লেনে। এলাকা বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, “ওই বাড়িটি বিপজ্জনক ছিল। বারান্দার একাংশ ঝুলে ছিল। বৃদ্ধা মহিলা যান বারান্দায়। তখনই ভেঙে পড়ে। আমি আওয়াজ পেয়েই ছুটে যাই।” প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা এলাকায় একটি বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেই বাড়িতে বাস করতেন হরিদাস দত্তরা। যদিও ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। তবে প্রতিবেশীরা ব্যাপক অসুবিধার মধ্যে পড়েন। কারণ বাড়িটি ভেঙে তাঁদের সামনে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যার জেরে নিজের-নিজের ঘরের ভিতর আটকে পড়েন প্রতিবেশীরা। পড়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
