ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘোষণার পরেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে গোপন চিঠি লিখেছিলেন জিনপিং

নিউজ ডেস্ক ::আমেরিকার মোকাবিলা করতে গেলে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে – এটা অনেক দেশ উপলব্ধি করেছে। আর সেই বিষয়ে প্রথম এগিয়ে আসে চিন। রবিবার চিন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠক করবেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ঘোষণার পরেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছিলেন জিনপিং। তাঁর সেই বার্তার পরই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় মোদির কাছে। চিঠিতে চিনা প্রেসিডেন্ট লেখেন, চিনের পক্ষে ক্ষতিকারক এমন চুক্তিতে যদি ভারত-আমেরিকা রাজি হয়, তাহলে সেই বিষয়টি বেজিংয়ের পক্ষে খুবই উদ্বেগের।

বিশ্লেষকদের মতে, জল মাপতেই এই চিঠি লিখেছিলেন জিনপিং। কারণ সেসময়ে বাণিজ্য চুক্তি করতে চেয়ে আমেরিকার সঙ্গে জোরকদমে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে চুক্তি, এমনটা দাবি করেন ট্রাম্প নিজেও। কিন্তু জিনপিংয়ের এই চিঠির সময় থেকেই ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতির কৃতিত্ব দাবি করতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ভারত-চিন সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। বিমান পরিষেবা শুরু, রপ্তানিতে ছাড়পত্রের মতো বিষয়গুলি নিয়ে অবস্থান কিছুটা বদলায় দুই দেশ। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের উপর আছড়ে পড়ে ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক। ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে এই শুল্কনীতির নিন্দা করেছে চিন। তারপরেই ভারত-চিন সম্পর্ক ফের জোড়া লাগতে শুরু করে। ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে ভোঁতা করে দিতে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়তে চলেছে। সাত বছর পর চিনে পা রাখছেন মোদি স্বয়ং।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *