নিউজ ডেস্ক ::এক সিরিয়াল কিলারের কাহিনী। স্বাভাবিক কারণেই আগের থেকে গল্প বলা যাবে না। তবে এই ছবিতে অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে ৭টা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলেছেন সোহম চক্রবর্তী। চিত্রনাট্যের কাঠামো অনেকটা এইরকম একজন সিরিয়াল কিলারের কাণ্ডকারখানা নিয়ে পুলিশ ব্যতিব্যস্ত। খুন করে রক্ত দিয়ে কবিতা লিখে সে রেখে যায়। তবে প্রতিটা কবিতা আলাদা হস্তাক্ষরে লেখা যেন। একটাই সূত্র থাকে ফিঙ্গারপ্রিন্টস। মূল চরিত্রে সোহম, যিনি অভিনেতা ‘অভিমন্যু’। তার ফিল্ম কেরিয়ারের নানা দিক দেখানো হয়েছে। ইধিকা পাল ‘উত্তরা’-র চরিত্রে। তিনি সোহমের প্রেমিকা। সে-ও অভিনয় জগতে রয়েছে। এবার তাদের কাহিনি এগোয় ফ্ল্যাশব্যাকে আর ফ্ল্যাশ ফরোয়ার্ডে। ছবিটা দেখতে দেখতে ‘বাইশে শ্রাবণ’ কিংবা ‘ভিঞ্চিদা’ কথা মনে এলেও, কোনও তুলনাতেই আসে না।
খুনের তদন্তে ‘বৃশভাদিত্য’ নামের এক পুলিশের চরিত্রে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় চমৎকার লাগে। অভিমন্যু আর উত্তরার সঙ্গে গল্পে যোগ রয়েছে পরিচালক ‘ডিডি’-র। সেই চরিত্রে লোকনাথ দে বেশ ভালো। এই তিনজন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িয়ে। সেই দিকটা উঠে আসে অতীতের ছায়ায়। এরপর ছবি এগোয় পাঁচটা মার্ডারের সূত্র সন্ধানে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে চরিত্রগুলোর মনোজগতের চুলচেরা বিশ্লেষণ আরও সচেতনভাবে করা যেত। নয়তো বড্ড সরলীকরণ মনে হয়েছে। সোহম চক্রবর্তী সবকটা লুক বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরেছেন, চিত্রনাট্য তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেনি।
