নেপালে কাজ শুরু করলেন সুশীলা কারকি

নিউজ ডেস্ক ::কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর অগ্নিগর্ভ নেপালের হাল ধরেছেন সেদেশের প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কারকি। রবিবার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম ভাষণ দিলেন তিনি। বললেন, “জেন জি বিদ্রোহে নিহতদের শহীদ ঘোষণা করা হবে।” তবে একইসঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, “যারা হিংসায় মদত দিয়েছেন, তাঁদের রেয়াত করা হবে না।” সুশীলা বলেন, “আমি এবং আমার সহযোগীরা ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ৬ মাসের বেশি থাকব না। নতুন সংসদ গঠন হলেই দায়িত্ব হস্তান্তর করব। তাই আপনাদের সমর্থন ছাড়া আমরা সফল হব না।” তাঁর সংযোজন, “নেপালে এই প্রথম এক টানা সাতাশ ঘণ্টা আন্দোলন হয়েছে। আন্দোলনকারীরা দেশে অর্থনৈতিক সমতা এবং দুর্নীতি নির্মূলের দাবি জানাচ্ছেন। এই বিদ্রোহে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের আমরা শহিদ ঘোষণা করব।”

তিনি আরো বলেন, “যারা হিংসা ছড়িয়েছেন, হিংসায় মদত দিয়েছেন, ভাঙচুর-লুটপাট করেছেন – তাঁদের রেয়াত করা হবে না। আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এছাড়াও তিনি বলেন, “এই আন্দোলনে বহু স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত। শহিদ পরিবারগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায্য প্রদান করা হবে। একইসঙ্গে আহতদেরও পাশে থাকবে অন্তবর্তী সরকার।” প্রসঙ্গত, বুধবার ৫ হাজার যুব আন্দোলনকারী একটি ভারচুয়াল বৈঠক করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে কারকির নাম প্রস্তাব করে। জানা যায়, তরুণ প্রজন্ম কারকির কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেল তিনি সমর্থনের জন্য কমপক্ষে ১,০০০ লিখিত স্বাক্ষর চেয়েছিলেন। যদিও তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে সমর্থন করে ২,৫০০-রও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *