নিউজ ডেস্ক ::এ যেন দেবদূত। ৯ জন মৎস্যজীবী প্রায় জীবনের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলো। কিন্তু কথায় আছে রাখে হরি তো মারে কে! গভীর সমুদ্রে বিপদ! ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়ে মৃত্যুর মুখে ৯ জন মৎস্যজীবী। দেবদূতের মতো প্রাণ বাঁচালেন পুলিশ কর্মীরা। কুলতলির মৈপিঠ কোস্টাল থানার নগেনাবাদের ৯ জন মৎস্যজীবী, মা মাসুনা ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যান রবিবার বিকালে। জিঞ্জির দ্বীপের কাছে বেশ কিছুক্ষণ তারা মাছও ধরেন। হঠাৎ সামুদ্রিক ঝড় এবং জলের টানে নৌকার পাঠাতনের বেশ কিছুটা অংশের কাঠ ভেঙে যায়। নেমে আসে বিপদ। নৌকায় থাকা ৯ মৎস্যজীবী তৎক্ষণাৎ নৌকার মধ্যে থাকা কাপড় এবং বস্তা দিয়ে নৈকার ভাঙা অংশ মেরামত করার চেষ্টা করেন। হু হু করে জল ট্রলারে ঢুকতে শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ ট্রলারের ক্ষত জায়গায় প্রোলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। পাশাপাশি বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেন। কিন্তু নেটওয়ার্কের সমস্যায় কারণে বাড়িতে যোগাযোগ করাও অসম্ভব হয়ে পড়ে তাদের পক্ষে। পরে যোগাযোগ সম্ভব হয়।
অবশেষে কালিবেরা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে মোবাইলে টাওয়ার মেলে। মৎস্যজীবীরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। দুর্ঘটনার কথা জানালে পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে সেই খবর দেয় মৈপিঠ কোস্টাল থানায় জানায়। এরপরেই ওসি শান্তনু বিশ্বাস একাধিক পুলিশ কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চ-সহ ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীদের সন্ধানে যান। ট্রলারের খোঁজ মেলে। ঠিক একেবারে ভগবানের দূত হিসাবে তাদের সম্মুখে উপস্থিত হয় মৈপিঠ কোস্টাল থানার ওসি ও কুলতলি স্থানীয় বেশ কিছু প্রতিনিধি। আর কিছুটা সময় দেরি হলে ওই সমস্ত মৎস্যজীবী জীবিত অবস্থায় ফিরতেন না। মৈপিঠ কোস্টাল থানার পুলিশ কর্মীরা মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গভীর রাতে তাঁরা বাড়ি পৌঁছন।
