নিউজ ডেস্ক ::টরন্টোর সেপ্টেম্বর মানেই কালান্তক এক প্রেমের আবহাওয়া, শীত-বসন্তের খেলা, দিনের বেলা ফাগুন হাওয়া, আর রাত্রে সেই ফাগুনে শীতের ধাক্কা। এহেন এক পরিবেশে মায়ের আসা। এখানে কিছু জায়গায় পঞ্জিকা মেনে, কলকাতার সময়তালিকার সঙ্গে মিল রেখে পুজো হয়। কিন্তু কিছু জায়গায় পুজো হয় Weekend দেখে। ধরুন, এক শনি-রবিতে ষষ্ঠী-সপ্তমী, পরের শনি-রবিতে অষ্টমী, নবমী, এবং দশমী একসঙ্গে। যদ্দিন আনন্দ করা যায় আর কী! এখানে ‘আমার পুজো’ গ্রুপ অনেক আগেই শুরু করেছে টরন্টোর দুর্গাপূজা। আয়োজনে এক কণা খামতি নেই। দুর্গামণ্ডপে ঢুকলে মনে হয় একটুকরো কলকাতায় পা রেখেছি। সেই একই উন্মাদনা, সেই একই ফুচকা-বিরিয়ানির স্টল। সেই একই ভিড়, পাড়ায় মাচা বেঁধে ‘বিচিত্রানুষ্ঠান’!
বাঙালি কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে এখন হইহই রব। উমা এসেছে, আর কি তাঁকে ছেড়ে দেওয়া যায়? শুধু মায়ের ওই হাসিভরা মুখখানা দেখতে দেখতে, এই সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারেও, চোখ ভিজিয়ে কিছু কথা মনে আসে। সেগুলো নাহয় কবিতাতেই তোলা থাক-
“তোমার কাছেই আটকা পড়ে গেছি,
দিব্যি খেলাম, কিছুই তো লুকাইনি-
তুমিই আমার দুগ্গাপুজোর আলো,
তুমিই আমার জন্মের সপ্তমী!”
