যত গন্ডগোল ভবানীপুর নিয়ে। সময় বলবে – শেষ হাসি কে হাসবেন

নিউজ ডেস্ক ::তিমধ্যে অংক করে শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মাত্র ৪৬ লক্ষ ভোট বাড়াতে পারলেই তারা ২০২৬ সরকার গড়বে। আর সেই সেই ৪৬ হাজার ভোট বাড়ার সূত্রও তিনি বলে দিয়েছেন। অন্য এক সভায় শুভেন্দু বলেন,’নন্দীগ্রামে মমতাকে হারিয়েছি, ভবানীপুরেও হারাবো।’ আর তখনই আলোচনা শুরু হয়ে যায় তাহলে কি ভবানীপুরে এবার শুভেন্দু প্রার্থী হচ্ছেন? শুভেন্দুর কথায় অনেকটা তাই মনে হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার ভবানীপুরকেন্দ্রে হয়ে গেলো বিজয়া সম্মিলনী। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দলের নেতা কর্মীদের মনে করিয়ে দেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই রাজ্যে নির্বাচন শুরু হয়ে যাবে৷ ফলে দলাদলি, মনোমালিন্য ভুলে ভবানীপুর সহ প্রতিটি কেন্দ্রে কর্মীদের দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন তিনি৷

এদিকে উত্তরবঙ্গ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে স্বয়ং মমতা বলেন, ভবানীপুরে বাইরের লোক ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেই দিকে সকলকে নজর রাখতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি ভাবানীপুর নিয়ে তৃণমূল কিছুটা ভীত? এবার ময়দানে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভবানীপুর বিজয়া সম্মিলনীতে বলেন, ‘পাগল-ছাগল অনেকে আছে যারা বলতে থাকে আলিপুরে আমরা জিতব। বলতে থাকে ভবানীপুরে আমাদের তৃণমূলকে হারাব। তাদের পাগল, ছাগল ছাড়া কিছুই বলা যায় না। কিন্তু ভবানীপুরের মানুষের গর্ব তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দিই। সাধারণ মানুষ শেষ কথা বলবে। আমরা আগে থেকে জেনুইন ভোটারের তালিকা তৈরি করে রাখব। তারপর স্যাট, ম্যাট, এসআইআর- যাই খুশি করুন , জেনুইন ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিতে পারবেন না। সাধারণ মানুষের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতান। আমরা ১ লক্ষ ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাব।’ সেই ভবানীপুর নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *