ঘূর্ণিঝড় মন্থা – সম্পূর্ণ প্রস্তুত দীঘা

নিউজ ডেস্ক ::ঘূর্ণিঝড় মন্থার খুব একটা প্রভাব পড়বে না বাংলায়। তবুও সাবধানের মার নেই। বিশেষ করে দীঘা, মন্দারমণিতে মানুষের ভিড় বাড়তে পারে এই ঝড় দেখার জন্য। ১১০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’। ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বভাস অনুয়ায়ী প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে, যাতে তারা সমুদ্রের উত্তাল অবস্থায় সমুদ্রে না নামেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় মন্থায় পরিণত হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় স্থলভাগে প্রবেশ করবে। যদিও ল্যান্ডফল হবে অন্ধ্র উপকূলে, কিন্তু তার পরোক্ষ প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে বাংলার উপকূল জুড়ে। তাই মানুষকে সচেতন করছে দীঘা ও মন্দারমণি প্রশাসন।

সোমবার সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। বইছে ঝড়ো হাওয়া, আকাশে ঘন মেঘ, কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টি, অস্থির হয়ে উঠেছে দিঘার আবহাওয়া। ওল্ড দিঘার সৈকত কার্যত ফাঁকা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে ঘূর্ণিঝড় মন্থা স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। ল্যান্ডফলের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে হচ্ছে। ফলে দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। ২৭ অক্টোবরের মধ্যে যারা গভীর সমুদ্রে রয়েছেন, তাদের দ্রুত উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *