নিউজ ডেস্ক ::সদ্য উত্তরবঙ্গ বন্যামুক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অনেকের। তারপরেই এসে উপস্থিত মান্থা। আবার প্রবল বৃষ্টি। শুক্রবার ও শনিবার প্লাবনের সম্ভাবনা। লাগাতার বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে নদীগুলির জলস্তর। স্বাভাবিকভাবে প্লাবনের আশঙ্কা করছেন অনেকে। আতঙ্কের প্রহর গুনছেন স্থানীয়রা। ভুটানের জলে শিসামারা নদীর নির্মীয়মাণ বাঁধ ভেঙে ফের শালকুমার ১ ও শালকুমার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। প্রায় ২০০ শতাধিক মানুষ ওই এলাকার বাড়ি ঘর ছেড়ে স্থানীয় লাল্টুরাম হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শালকুমার ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুভাষ রায় বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে যেখানে শিসামারা নদীর বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল তা ভেঙে শালকুমারের নতুন পাড়া ও মুন্সিপাড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। ২০০ থেকে ২৫০ পরিবারকে আমরা উদ্ধার করে স্থানীয় নতুন পাড়া লাল্টুরাম হাইস্কুলে নিয়ে এসেছি। বাড়ির গবাদি পশু ও অন্যান্য কিছু উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে। আরও জল বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠবে।” শালকুমারে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের নামানো হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে জেলা পরিষদও। নিচু এলাকা থেকে মানুষদের সরিয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং শুরু হয়েছে। বলে রাখা ভালো, এর আগে গত ৫ অক্টোবরের বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের শালকুমার ১ ও শালকুমার ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ওই এলাকা আবার ক্ষতির মুখে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
