নিউজ ডেস্ক ::এমন ঘটনা সাধারণত ঘটে না। কিন্তু তাও ঘটে গেলো নদীয়া চাপড়ায়। ঘটনার সূচনা কার দখলে থাকবে সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক। মাদক বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে বচসা থেকে তার জল গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদম ভরা রাস্তার উপরই পুলিশ ও বিএসএফ আধিকারিকরা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, তিন চারজন পুলিশ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছেন বিএসএফ আধিকারিকরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশকে মারধর করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে এক বিএসএফ জওয়ানকে। যদিও এই ঘটনায় বিএসএফ বা জেলার পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরগামী একটি যাত্রী বোঝাই বাসে নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ বা ফেনসিডিল আসছিল।
এরপর ফেনসিডিল বোঝাই পেটিগুলিকে রাস্তাতেই কেউ বা কারা নামিয়ে চলে যায়। পরে উৎসুক মানুষজন সেটি খুলে দেখেন। আর তারপরই ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরে খবর দেন পুলিশে। এবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা ওই ফেনসিডিলগুলি বাজেয়াপ্ত করে গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করে। যে স্থানে এই ঘটনা ঘটেছে তার পাশেই বিএসএফ ক্যাম্প। পুলিশ আধিকারিকরা যখন নিষিদ্ধ এই কাফ-সিরাপের পেটিগুলি গাড়িতে তুলছিলেন, সেই সময় হাজির হন কর্তব্যরত বিএসএফ আধিকারিকরাও। অভিযোগ, তাঁরা পুলিশ কর্মীদের বাধা দেন ওই পেটিগুলি নিয়ে যাওয়া থেকে। বিএসএফ-এর দাবি, তাঁদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে সীমান্তে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ আনা হচ্ছে। তারপরেই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে অবশ্য আলোচনায় সমস্যার সমাধান হয়।
