বিধায়ক পত্নী তথা অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন – বিতর্ক সমানে চলেছে

নিউজ ডেস্ক ::বিষয়টা যথেষ্ট আশ্চর্যর বটে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ সকলের জন্য হলেও এটা মূল্য দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য। আর এই প্রকল্পের সুযোগ যখন কোনো প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী নেবেন, তখন তো বিতর্ক হবেই। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নিশানায় উত্তরপাড়ার বিধায়কপত্নী! এক্স হ্যান্ডেলে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে নামোল্লেখ না করেই সুকান্তর দাবি, শ্রীময়ী চট্টরাজ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন। শুধু তাই নয়, ‘লুটে নেওয়া’র অভিযোগও তোলেন বিজেপি সাংসদ তথা মন্ত্রী। পালটা জবাব এল শ্রীময়ীর তরফেও। অভিনেত্রী তথা বিধায়কপত্নীর সাফ কথা, “কোথাও লেখা নেই বিধায়কপত্নী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে পারে না।”
এদিন সোশাল মিডিয়ায় সুকান্ত লেখেন, “গত ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের একটি লক্ষীর ভাণ্ডারের আবেদনপত্র এখন সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটিতে নাম-সহ যে তথ্য এবং ছবি দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে সম্ভবত এই আবেদন করেছেন একজন অভিনেতা-তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রী!

ব্যাস, শুরু হয়েছে বিতর্ক। সুকান্ত লেখেন, সম্প্রতি সন্তান জন্মের জন্য হাসপাতালের বিপুল খরচের বিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জমা দেওয়া নিয়ে যাঁকে ঘিরে বিস্তর সমালোচনা হয়েছিল, দেখা যাচ্ছে সেই তৃণমূল বিধায়কের নামও জ্বলজ্বল করছে এই আবেদনপত্রে। একজন রাজ্যবাসী হিসেবে আমি অবিলম্বে এই আবেদনপত্রটির প্রকৃত সত্যতা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। সেই পোস্টে সুকান্তর সংযোজন, “ওই প্রতিভাবান বিধায়কের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই জানাচ্ছি, যদি এই আবেদনপত্রটি এবং এতে উল্লেখিত যাবতীয় তথ্য সত্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে সত্যিই নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের বিধায়কদের ভাঁড়ারে প্রচণ্ড দুর্দশা!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *