অধীর কি এইবার বিজেপিতে? তেমনই ইঙ্গিত কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে

নিউজ ডেস্ক ::কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী যে শক্তিশালী নেতা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তৎসত্ত্বেও যখন সেই কথা বার বার করে শুভেন্দুর মুখে শোনা যায়, তখন তো সন্দেহ হবেই। শনিবার সকালে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে ‘শক্তিশালী’ নেতা বলে প্রশংসা করে কি সেই ইঙ্গিতই দিলেন শুভেন্দু? হাতশিবিরে প্রায় ‘অকেজো’ হয়ে যাওয়া নেতা কি আত্মপ্রকাশ করবেন পদ্মবনে? স্বাভাবিকভাবে চলছে জোর চর্চা। এদিন সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। SIR ইস্যুতে তৃণমূলকে একাধিকবার নিশানা করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকের শেষের দিকে ওঠে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ। বিজেপি নেতা শুভেন্দু কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেও, অধীরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, “কংগ্রেস তো ঘোষিত মমতার বন্ধু। আর যেদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীরকে সরালেন, সেদিন রাহুল, সোনিয়া, মল্লিকার্জুন খাড়গে সিগনাল দিয়েছেন মমতার সঙ্গে লড়ব না। মমতার সঙ্গে লড়লে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সোমেন মিত্র, গনিখান চৌধুরী, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পর শক্তিশালী নেতা হলেন অধীর।”

বলে রাখা ভালো, দীর্ঘদিন বঙ্গ কংগ্রেসের ভার সামলেছেন পুরোপুরি তৃণমূল বিরোধী অধীররঞ্জন চৌধুরী। ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূলের অন্যতম বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে এসেছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলা তো বটেই, কেন্দ্রেও তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের টানাপোড়েন প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব ভালোই বোঝেন রাহুল-সোনিয়ারা। তাই বঙ্গে অধীরের ভূমিকায় মোটেও সন্তুষ্ট ছিল না দিল্লি। সেই পরিস্থিতি অধীরকে সরিয়ে ‘নরমপন্থী’ শুভঙ্কর সরকারের হাতে প্রদেশ কংগ্রেসের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। ফলে কংগ্রেসের মূল স্রোত থেকে অনেকটাই সরে যেতে হয় অধীরকে। তাই অনেকের ধারণা এবার অধীরকে বিজেপিতে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *