নিউজ ডেস্ক ::দিল্লির পড়ে এবার জম্বু ও কাশ্মীরে। আবার সেই বিস্ফোরণ। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম পুলিশ স্টেশনে মজুত করে রাখা ছিল উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ উদ্ধার করা বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক থেকেই শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত প্রায় ৩০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। জানা গিয়েছে, ফরিদাবাদ থেকে যে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল দিন কয়েক আগে, সেই ৩৬০ কেজি বিস্ফোরক এনে রাখা হয়েছিল নওগাম পুলিশ স্টেশনে, যেহেতু এই থানাতেই প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল। শুক্রবার রাতে যখন পুলিশ ও ফরেন্সিক টিম এই বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন, সেই সময়ে হঠাৎ ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিপুল আগুন ও ধোঁয়া।
বহুদূর থেকে সেই বিস্ফোরণ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে আশেপাশের বিল্ডিংগুলিও কেঁপে উঠল। থানা থেকে আগুনের শিখা ও কালো ধোঁয়া নের হতে দেখা যায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই আরও পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স ছুটে আসে। আহতদের উদ্ধার করে আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, মোট ২৮ জন আহত, ২০ জনকে উজলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, ৮ জনকে এসএমএইচএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শ্রীনগরের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরকের কিছু নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ ফরেন্সিক ল্যাবে আগেই পাঠানো হয়েছিল, তবে বড় অংশই পুলিশ স্টেশনে রাখা ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয় গত রাতে। এই বিস্ফোরণের তীব্রতাও এতটাই বেশি ছিল যে ৩০০ ফুট দূরে ছিটকে যায় দেহাংশ।
