নিউজ ডেস্ক ::জাপানের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে মন্তব্য করেন, ”যদি তাইওয়ানে চিন হামলা চালায়, তাহলে জাপানের অস্তিত্ব বিপণ্ণ হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে বাধ্যতই টোকিওকে মার্কিন সেনার সঙ্গে মিলে সামরিক পদক্ষেপ করতে হবে।” বেজিং তাঁর এহেন মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বলে এমন মন্তব্যে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্ষতির মুখে পড়বে। এবং এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলাও সংকটে পড়বে। এরই পাশাপাশি জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি শুক্রবার সেদেশের অস্ত্রভাণ্ডারে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন। অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মিনোরু কিহারা বলেছেন, এই প্রস্তাব উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
স্বাভাবিক ভাবেই এহেন মন্তব্যে আরও জোরালো হয়েছে সংঘাতের আবহ। বেজিংয়ের সাফ কথা, তাইওয়ান নিয়ে নাক গলালে তার পরিণাম ভুগতে হবে জাপানকে। বেজিং এমন ধরনের মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের কড়া হুঁশিয়ারি, যদি জাপান অ-পারমাণবিক নীতি থেকে সরে আসে তাহলে তা আন্তর্জাতিক আঙিনায় এক গুরুতর সংকেতই বহন করবে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান জানিয়েছেন, চিন এই ধরনের মন্তব্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই ড্রাগনের আগ্রাসনে কোণঠাসা তাইওয়ান। বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। বেজিংয়ে ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি।
