নিউজ ডেস্ক ::আজ আদালত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সাজা ঘোষণা করবে। স্বাভাবিক কারণেই আওয়ামিলীগের কর্মী সমর্থকরা উত্তেজিত। আর এই প্রতিবাদের আগুন থামাতেই গুলি চালানোর নির্দেশ। এরপরই বাংলাদেশে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে, হাসিনার পতন যে কারণে, সেই ভুলই ফের একবার করতে যাচ্ছে না তো ইউনূস সরকার? মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজ, সোমবার হাসিনা সহ তিনজনের সাজা ঘোষণা করা হবে। হাসিনার মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ, জুলাই আন্দোলনে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলেই দাবি করা হয়েছে। যদিও হাসিনা এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।এর মধ্যেই বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ বাংলাদেশ জুড়ে শাটডাউনের ডাক দিয়েছে।
রবিবার ও সোমবার বাংলাদেশ জুড়ে এই শাটডাউন করবে আওয়ামী লিগ। দফায় দফায় বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বোমা ছোড়া হয়েছে। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই বাংলাদেশের পুলিশের বড় সিদ্ধান্ত। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ককটেল বোমা ছুড়তে বা অগ্নিসংযোগ করতে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মুহাম্মদ সাজ্জাত আলী। আজ যদি কোনও সরকারি ব্যাঙ্ক, ভবনে আগুন দেওয়া হয় বা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করা হয়, তাহলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেছেন, “যাঁরা মানুষ এবং পুলিশ সদস্যদের উপর ককটেল হামলা এবং যানবাহনে আগুন দেবেন, আইনসম্মত ভাবেই তাঁদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বাংলাদেশের পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ৯৬ থেকে ১০৬ ধারায় আত্মরক্ষার্থে যদি কেউ গুলি চালান, তাহলে তা অপরাধ নয়। দণ্ডবিধির ৯৬ ধারার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, “ব্যাক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে কৃত কোনকিছুই অপরাধ নহে।”
