বিশ্ব শৌচালয় দিবস – প্রেক্ষিত ও তাৎপর্য

নিউজ ডেস্ক ::আজ, ১৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক
শৌচালয় দিবস। সারা বিশ্ব জুড়ে খুবই আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হচ্ছে এই দিবস। তবে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতেই এই দিবসের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। আপাতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে না-ই হতে পারে। কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শৌচাগারের ভূমিকা অনেকটাই। খোলা জায়গায় শৌচ করলে রোগ ছড়াতে পারে। এছাড়াও সঠিক পদ্ধতি মেনে শৌচ না করলে নানারকম রোগ ছড়ায়। কিছু কিছু রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশই শৌচাগারের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পিছিয়ে রয়েছে। সারা বিশ্বে প্রায় ৩.৬ মিলিয়ন মানুষ এই অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন। অল্প আয়ের দেশগুলোতে এই সমস্যা বেশি। এছাড়া দুর্গম অঞ্চলগুলোতে মানুষ এখনও শৌচের সমস্যায় ভুগছেন। সবার জন্য পরিছন্ন ও নিরাপদ শৌচাগারের ব্যবস্থা করাও এই দিনটির উদ্দেশ্য।

এই শতাব্দীর শুরু থেকেই পালিত হচ্ছে এই দিনটি। ২০০১ সালে প্রথম টয়লেট দিবসের উদযাপন হয়। এরপর ২০১২ সালে দিনটিকে অফিসিয়ালি ছুটির দিনও ঘোষণা করে জাতিসংঘ। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্ব টয়লেট দিবস পালন করা হয়। টয়লেট ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতেই এমন দিন পালন করা শুরু। বিশ্বের অনেক দেশই এখন পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে পিছিয়ে আছে। প্রতি বছর এই দিনে জাতিসংঘ নতুন অঙ্গীকার নিয়ে থাকে। পরিচ্ছন্ন থাকলে অনেক সংক্রমণই এড়ানো সম্ভব। টয়লেট অপরিষ্কার থাকলে বেশ কিছু ছোঁয়াচে রোগ ছড়াতে পারে। পাশাপাশি জলের ব্যবহার নিয়েও সচেতন হওয়া জরুরি। সারা বিশ্বে স্বাদু বা পানীয় জলের পরিমাণ কমে আসছে। তাই শৌচাগারে জলের ব্যবহার পরিমাণ বুঝে করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *