নিউজ ডেস্ক ::বাংলাদেশে আদালত ট্রাইবুনাল শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। আর বাংলাদেশে মৃত্যুদন্ড মানেই ফাঁসি। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো ফাঁসির মঞ্চ নেই। গাজীপুরে মহিলা বন্দিদের জন্য জায়গা আছে ঠিকই, কিন্তু ফাঁসির মঞ্চ কই! স্থানীয় এক সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭১ সাল থেকে ১০০ জনেরও বেশি মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু তার মধ্যে একজনেরও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। এখনও সে দেশে ৯৪ জন মহিলা বন্দি মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। বাংলাদেশের সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজীপুরে মহিলাদের জন্য একটি পৃথক কারাগার তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোনও ফাঁসির মঞ্চ নেই।
গাজীপুর জেলে কেন ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করা হয়নি? সংবাদমাধ্যমের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এক প্রাক্তন আধিকারিক জানান যে আগে কোনও মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়নি। জাকিরের মতে, বাংলাদেশের প্রশাসন ধরেই নিয়েছিল যে ভবিষ্যতেও কোনও মহিলার ফাঁসি হবে না। তাই মহিলাদের কারাগারে কোনও ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করা হয়নি। সাধারণত বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড মানেই ফাঁসি। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। অন্য কোনও উপায়ের কথা উল্লেখ নেই। তবে আপাতত প্রশ্ন একটাই। ভারত কি হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করবে? ইতিমধ্য়েই দেশের বিদেশমন্ত্রক তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশকে ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী’ বলেই উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের দেওয়ার রায় সম্পর্কে ভারত অবগত বলেও জানিয়েছে।
