নিউজ ডেস্ক ::সিপিএম চিরকালই মনে করে কোনো ব্যক্তি মুখ নয়, প্রাধান্য পাবে সামগ্রিক নেতৃত্ব। সংসদীয় ব্যবস্থায় সেই নীতি সব সময় মেনে চলা হয়তো সম্ভব হয় নি। তাই কখনো জ্যোতি বসু কখনো বুদ্ধুদেব ভট্টাচার্য দলে প্রধান হয়ে উঠেছিল। এখন আবার ব্যক্তিমুখ সরিয়ে রেখে সামগ্রিক নেতৃত্বের দিকে ঝুঁকেছে সিপিএম। এসআইআর আবহেই ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৯ নভেম্বর থেকে বাংলা বাঁচাও যাত্রা শুরু করছে বঙ্গ সিপিএম। উদ্দেশ্য, সংগঠন চাঙ্গা করা। তবে সিপিএমের এই বড় কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা কোনও ব্যক্তি মুখ নয়, স্থানীয় স্তরের পরিচিত মুখদেরই গুরুত্ব দিচ্ছে আলিমুদ্দিন। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর হবে ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়ে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে শেষ হবে যাত্রা।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ইনসাফ যাত্রা করেছিল সিপিএম। সেই ইনসাফ যাত্রার মুখ করা হয়েছিল পার্টির যুব সংগঠনের তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষীকে। তার আগে সিপিএমের এই ধরণের কর্মসূচিতে টানা সামনে ছিলেন বিমান বসু। কিন্তু এবার একেবারে স্থানীয় এবং নিচুতলার নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব বা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে ‘বাংলা বাঁচাও’ যাত্রা কর্মসূচিতে।
বিধানসভা ভোটের আগে বুথে বুথে দলের সংগঠন ও কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করাও লক্ষ্য এই কর্মসূচির। বাংলা বাঁচাও যাত্রা সম্পর্কে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, ‘‘সারা রাজ্যজুড়ে এই যাত্রার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের জ্বলন্ত সমস্যা ও সংকটগুলিকে তুলে ধরা হবে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে পার্টির অঙ্কীকারকে আবারও দৃঢ়ভাবে প্রকাশ করা হবে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নাগরিক, রাজনৈতিক আন্দোলনের কর্মী ও নেতৃবৃন্দের ব্যাপক অংশগ্রহণে পথসভা, গণসমাবেশ ও মানুষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে এই দীর্ঘ যাত্রাপথে।’’ এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সিপিএমের এই জাতীয় কর্মসূচি খুবই সফল হয়, কিন্তু তার প্রভাব ভোটবাক্সে পড়ে না। এখন ২০২৬ ভোটের রেজাল্ট দেখার অপেক্ষায় বাংলার মানুষ।
