নিউজ ডেস্ক:: SSC মানেই যেন শুধুই ভুলে ভরা একটা সংস্থা! প্রশ্ন উঠেছে, এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত না ভুল করেই ভুল করা। ৪০ নম্বরের পরীক্ষায় ভুল করে আপলোড ৫০ নম্বরের সিলেবাস। বিতর্ক একদম যেন ওতপ্রোতভাবে লেগে গিয়েছে এসএসসি-র পিছনে। সম্প্রতি গ্রুপ সি-ডি পরীক্ষার জন্য এসএসসি-র তরফে সাইটে একটি সিলেবাস আপলোড করা হয়েছিল। পরীক্ষা ছিল ৪০ নম্বরের। কিন্তু ওই সিলেবাসে পার্ট মার্কিং যোগ করতে সেটা ৫০ নম্বর হয়ে গিয়েছে। আসলে পরীক্ষা ৪০ নম্বরের না ৫০-এর, সেটাই বুঝতে পারছিলেন না পরীক্ষার্থীরা। বিতর্ক দানা বাঁধতেই পরে আবার সেই সিলেবাস ডিলিট করে দেওয়া হয়। তারপর আরেকটি সিলেবাস আপলোড করা হয়, যেটা ৬০ নম্বরের।
এসএসসি-র তরফ থেকে এর ভুলও স্বীকার করা হয়। কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়, টাইপো হয়েছিল। অর্থাৎ প্রুফ চেকিং করার পরও ভুল থেকে যাচ্ছে। এদিকে, এসএসসি-র একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশের পরও একাধিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিযোগ উঠেছে, দাগীদের নামও থেকে যাচ্ছে ভেরিফিকেশনের তালিকায়। তাঁরাও ডাক পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে নীতীশরঞ্জনের নাম উঠে আসে। আবার কাট অফ মার্কস ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দেওয়া ১০ নম্বর নিয়েও বিতর্ক হয়। অভিযোগ হয়, ১৯৯৭ সালের পর জন্ম যাঁদের, তাঁদেরও অনেকে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন। বয়সের হিসাবে সেটা কীভাবে সম্ভব? এই নিয়েও কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়। পাশাপাশি শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে পথে নেমেছেন নবাগত ও যোগ্য চাকরিহারারাও। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও শূন্যপদ বাড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রাথমিক স্তরে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন।
