নিউজ ডেস্ক ::দুটি পৃথক দুর্নীতির দায়ে দুই বড় তৃণমূল নেতা বেশ কয়েক বছর জেলে ছিলেন। এই মুহূর্তে দুজনেই জেলমুক্ত। এক সময় দুজনই দুজনের নামে অনেক নিন্দা করেছে। এবার যেন সমস্ত পাপ আগুনে পুড়িয়ে দুজনেই বন্ধু হয়ে উঠেছেন। সব বৈরিতা ভুলে সেই কুণাল ঘোষকে ফোন করে আজ কেঁদেই ফেললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সন্ধ্যায় কুণাল ঘোষকে করলেন ফোন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বেশ কিছুক্ষণ দু’জনের কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, বুধবার ফোন করে কুণালের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন পার্থ। চিকিৎসার ব্যাপারেও খোঁজ নেন তিনি। কথা বলতে বলতে আবেগ তাড়িত হয়ে কেঁদেও ফেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। মুখে একটাই কথা, ‘আমি চুরি করিনি।’ সূত্রের খবর, এদিন পার্থ বারবার বলেছেন, “আমি চুরি করিনি। বিশ্বাস কর, আমি চুরি করিনি।”
সময় বদলায়। জেল থেকে মুক্তি পান কুণাল ঘোষ। আজ তিনি তৃণমূলের মুখপাত্র। আর তিন বছর তিন মাস জেল খেটে বাড়ি ফিরেছেন সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কুণাল ঘোষ পার্থ সম্পর্কে ঠিক কী বলেছিলেন, তা সাধারণ মানুষের মন থেকে মোছেনি। আর কুণাল সম্পর্কে পার্থ যা বলেছিলেন, সেটাও খুব একটা সৌজন্যের নজির রাখে না। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “যখন আমি অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি, আমার সম্পর্কে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়েছিলেন। আমার নাকি মাথায় গণ্ডগোল, আমি পাগল। ওর নাম আমার সামনে করবেন না। আমি উত্তর দেব না। যত নাটক।“ আর পার্থও কম যাননা। জেলে বন্দি থাকাকালীন একদিন আদালত থেকে ফেরার পথে পার্থ বলেছিলেন, “কুণাল ঘোষকে অনেক আগেই তাড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল। ও যা ক্ষতি করছে, বিরোধী দলও করেনি। জেলে এসে জানতে পারলাম, কতটা ঘৃণ্য কাজ করেছে।” এখন পার্থ বুঝেছে কুনাল ছাড়া দলে তার গতি নেই। তাই তিনি এখন কুনালের স্মরণে।
