নিউজ ডেস্ক ::চূড়ায় আগাছা, অযত্নে দু’শো পার হওয়া রাসমঞ্চ। যেন ধ্বংসের অপেক্ষায় দিন গুনছে শিলদার ঐতিহ্যবাহী প্রত্ন-কীর্তি রাসমঞ্চ! যাঁর রাজত্বকালে তৈরি হয়েছিল তিনি রানি কিশোরমণি। ঐতিহাসিক সেই রানীর স্মৃতিবিজড়িত রাসমঞ্চ ধ্বংসের প্রহর গুনছে। শিলদার কিংবদন্তি রানী ছিলেন রানী কিশোরমণি। তাঁর আমলে তৈরি রাসমঞ্চটি রয়েছে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের শিলদা এলাকার নাদ পাড়ায়। সরু রাস্তার ধারে। ঝামা পাথরের তৈরি ‘নবরত্ন’ রাসমঞ্চটির ন’টি চূড়া বট, অশ্বত্থ গাছ আর আগাছায় ভরেছে।
সংস্কারের অভাবে পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাসমঞ্চ। শিলদার নতুন প্রজন্মের অনেকেরই এই রাসমঞ্চের ইতিহাস অজানা। বর্তমানে রাসমঞ্চের ভিতরেও আগাছা ও আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। শিলদার তরুণ সংঘের সম্পাদক নিমাই চন্দ্র নাদ বলছেন, “রাসমঞ্চ, হাতিদুয়ার, সংস্কার প্রয়োজন। ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কার হলে পর্যটকদের অন্যতম স্থান হয়ে উঠবে।” প্রাসাদ চত্বরে রাধা-কৃষ্ণের মন্দির এবং বাইরে রাসমঞ্চ তৈরি করান রানি। কিশোরমণির মৃত্যুর পরে প্রাসাদ চত্বরটি মেদিনীপুর জমিদারি কোম্পানির হাতে চলে যায়। চুরি যায় বিগ্রহগুলি। বাম আমলে প্রাসাদ চত্বরের একাংশ জমি খাস হয়ে যায়। এখন প্রাসাদের অস্তিত্ব নেই। তবে প্রাসাদের প্রধান তোরণ ‘হাতিদুয়ার’টি রয়েছে। বছর দশেক আগে প্রাসাদ চত্বরের জমিতে তৈরি হয়েছে বেলপাহাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার (বিএলআরও) অফিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, “রাসমঞ্চ সংস্কার করা খুবই প্রয়োজন। সংস্কার না হলে ঐতিহাসিক রাসমঞ্চ ধ্বংস হয়ে যাবে।”
