নেপালের এই বিদ্রোহের পিছনে কি আমেরিকার হাত আছে? প্রশ্ন কূটনৈতিক মহলের

নিউজ ডেস্ক ::নেপাল জ্বলছে। এর আগে যেভাবে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ জ্বলেছে সেভাবেই জ্বলছে নেপাল। মাত্র ২/৩ দিনের মধ্যে বিদ্রোহীরা সংখ্যায় এতো বাড়লো কি করে? তারা এতো শক্তি পেলো কোথায়? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে কূটনৈতিক মহলের মধ্যে। সোমবার থেকে নেপালে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন শুরু করেছে Gen Z। সেই আন্দোলনের তীব্রতায় মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। সম্প্রতি চিন থেকে ফিরেছিলেন তিনি। চলতি সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার মধ্যেই পদত্যাগ করতে হল। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কীভাবে গদিচ্যুত হলেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। কেউ বলছেন,নেপালের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তা করেছেন। আবার কারও মতে এর নেপথ্যে রয়েছে বিদেশি চক্রান্ত। নেপাল, সার্ক এবং চিন-তিব্বত বিষয়ক বিশিষ্ট সাংবাদিক কেশব প্রধানের মতে, ‘নেপালের এই বিক্ষোভ হয়তো স্বতঃস্ফূর্ত। এর পিছনে কোনও বহিরাগত শক্তি রয়েছে, এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছনো এখনই ঠিক হবে না। দেশটা দীর্ঘদিন ধরে অস্থির। তার সুযোগ বিদেশি শক্তি নিতে পারে এখন, সেটা যদিও বলা যায়।’

ওলিকে চিনপন্থী নেতা হিসেবে বিবেচনা করেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সিনিয়র কমিউনিস্ট নেতা ওলি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী হন। তাঁকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে চিনের হাত ছিল বলেই মনে করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এক বছর পরও তিনি ভারত সফর করেননি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যগতভাবে প্রথমে ভারতে যান, তবে ওলির প্রথম বিদেশ সফর ছিল চিন। অনেকের মতে ওলির রাজনীতি বাস্তবসম্মত নয়। তিনি ভারতের সঙ্গে নেপালের শতাব্দী প্রাচীন সুসম্পর্ককে মর্যাদা দিতে পারেননি। বারবার চিনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ঐতিহাসিকভাবে, নেপাল, ভারত এবং তিব্বতের সঙ্গে সীমান্তে অবস্থিত, চিন নয়। সেটাকে মান্যতা দিতে চাননি ওলি। আনেকে আবার নেপালের আজকের অবস্থার জন্য দায়ি করছেন আমেরিকাকে। যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছিল। কারও বিশ্বাস আমেরিকার এমসিসি বিনিয়োগকে দুর্বল করার জন্য চিন উস্কানি দিয়েছে। এখন দেখার সত্যি নেপালের এই বিদ্রোহের পিছনে সত্যি আমেরিকার কোনো মদত আছে কিনা!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *