নিউজ ডেস্ক ::শুল্ক নীতি নিয়ে বার বার করে নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছেন ট্রাম্প। কয়েকদিন আগেই ভারতের উপর নতুন শুল্ক চাপিয়ে ভারতকেই প্রধান শত্রু করে তুলেছিলেন। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে ট্রাম্পের ‘বন্দুকের নল’ ঘুরে গিয়েছে চিনের দিকে। তিনি বলছেন, ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করলে মস্কোর উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে সকলে মিলে। আর সেই সঙ্গেই বলেছেন, বেজিংয়ের উপরে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাবেন! ট্রাম্প ন্যাটোর দেশগুলিকে লেখা চিঠিতে পরিষ্কার লিখেছেন, তিনি রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে প্রস্তুত। তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছে, ‘আমি কিন্তু তৈরি হয়ে যাব আপনারা তৈরি হলেই। কেবল বলতে হবে কখন।’
ঠিক কবে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ন্যাটোর দেশগুলির উপর চাপিয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে নিশানা সেধেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘আমি আশা করি ন্যাটোও ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাবে চিনের উপরে। আর তা প্রত্যাহার করে নেবে একবার রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ থামলেই। চিনের রাশিয়ার উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। শক্তিশালী শুল্কই পারে সেই বন্ধনকে ভেঙে ফেলতে।’ কিন্তু কেন হঠাৎ ভারত ছেড়ে চিনকে ‘ভিলেন’ বানাতে হল ট্রাম্পকে? ট্রাম্পের সচিব স্কট বেসেন্ট, যিনি কিছুদিন আগেই ভারতের রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন, তিনিই এবার নরম গলায় বলছেন, সমস্যা যা আছে, দুই মহান দেশ একসঙ্গে আলোচনায় বসে ঠিক করে ফেলবে। আসলে দিল্লির প্রতি সুর নরম করার নানা কারণ আছে। একে তো ডেমোক্র্যাট এবং মার্কিন প্রশাসনের প্রাক্তন আধিকারিকরা এই ইস্যুতে ট্রাম্পকে একহাত নিয়েছে। এমনকী, রিপাবলিকানদের মধ্যে নিক্কি হ্যালির মতো কেউ কেউ ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চমৎকার ‘বন্ধুত্ব’কে নষ্ট না করতে সতর্ক করছেন।
