নিউজ ডেস্ক ::এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছিলেন চিন পরমাণু বোমা ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার উত্তরে চিনের মন্ত্রী সে দাবী কে অস্বীকার করলেন। বেজিং-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করছেনা ড্রাগনের দেশ। নিজেদেরকে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের প্রসঙ্গে ‘দায়িত্ববান’ দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তাঁরা। বেজিং-এ এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখপাত্র মাও নিং জানিয়েছেন, পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র চিন। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ব্যবহার না করার নীতি রয়েছে চিনের। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আত্মরক্ষার কৌশল নিয়েছে তাঁরা। এর পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা না করার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলছে চিন। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষে ওয়াশিংটন নিজের দায়িত্ব পালন করবে বলে আশা করছে চিন।
রবিবার সন্ধায় ভারতকে ‘সতর্ক’ করে ট্রাম্প বলেন, শুধু আমেরিকা নয় পাকিস্তান-চিনও পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা করছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাশিয়া এবং চিন পরীক্ষা করছে, কিন্তু তাঁরা এটা নিয়ে কথা বলে না।’ পাশাপাশি পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, মাটির গভীরে এই পরীক্ষা করছে সবাই। সেই কারণে মৃদু কম্পন ছাড়া কিছুই বুঝতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি, ৩৩ বছরের স্থগিতাদেশের পর আমেরিকার সেনা বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এরপরেই তাঁর এই মন্তব্য চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে রাজনৈতিক মহলে।
