নিউজ ডেস্ক ::বাতাস বেশ উত্তপ্ত। তারমধ্যে শেষ মুহূর্তে জানা গেলো মমতার হেলিকপ্টার যেতে পারবে না। তাঁকে সড়ক পথে মতুয়া গড় বনগাঁ যেতে হবে। তিনি বনগাঁ পৌঁছে প্রকাশ্য সভায় এক হাত নিলেন বিজেপি ও কমিশনের বিরুদ্ধে। বক্তব্যর শুরুতেই তিনি বলেন, “আমাকে আঘাত করলে, সারা ভারতবর্ষ নাড়িয়ে দেব।” পড়ে বলেন, “রোহিঙ্গা ঢুকলে কোথা দিয়ে ঢুকছে? মিজোরাম, মণিপুর, অসমে তো এসআইআর হচ্ছে না। বাংলায় হচ্ছে। কারণ, বাংলাকে জব্দ করতে হবে। বাংলাকে ব্রিটিশরা জব্দ করতে পারেনি, তাই রাজধানী ছিল।” মমতার হুঁশিয়ারি, “জানেন তো, জীবিত বাঘের চেয়ে আহত বাঘ বেশি ভয়ংকর। তাই আঘাত করবেন না। আঘাত করলে প্রত্যাঘাত সহ্য করতে হবে।” এর পরেই বনগাঁবাসীর উদ্দেশে মমতার বার্তা, “আপনাদের আশ্বস্ত করতে এসেছি। ভোট চাইতে আসিনি।”
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে তীব্র আক্রমন করেন শুভেন্দুকে। বলেন, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়, শাড়ির চেয়ে গামছা, মন্ত্রীর চেয়ে আমলা বড়।” শান্তনুকে বিঁধলেন মমতা, “বড়মা যখন অসুস্থ হতেই কোথায় ছিলেন। একবার নয়। ৬ বার নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়েছি। বালু আমাকে খবর দিতেন। বালু মানে জ্যোতিপ্রিয়। ঠাকুরবাড়ির উন্নয়ন আমরাই করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।” অন্তিম পর্বে তিনি ধৰ্মীয় ছোঁয়া দিয়ে বলেন, “আমরা ধর্ম, ধর্ম করি না। আমাকে যে খাবার করে দেয় সে-ও একজন তফসিলি মেয়ে। আমাকে খেতে দেয়। একসঙ্গে ঘুমোয়। রান্নাটাও সে-ই করে। তাকে কাছে রেখেছি। মানুষ করেছি। চাকরি দিয়েছি। বিয়ে দিয়েছি।” মমতার হুঁশিয়ারি, “আমার বাংলা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। আর আঘাত করলে, প্রত্যাঘাত সহ্য করতে হবে।”
