নিউজ ডেস্ক ::হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। এর প্রধান কারণ ইউনুস এখন পাকিস্তানের হাতের পুতুলে পরিনত হয়েছে। ফাঁসির সাজা ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্য়ে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠাল ঢাকা। গত শুক্রবার ভারতীয় হাইকমিশনে সংক্ষিপ্ত চিঠি পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনার যেন নয়াদিল্লির বিদেশমন্ত্রকে চিঠিটি যথাসম্ভব পৌঁছে দেন। রবিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র দফতরে এই চিঠির কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ঢাকার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের তুলে ধরা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে শুক্রবার একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত জুলাই-অগস্ট জুড়ে চলা গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। পরে যায় তাঁর আওয়ামী লিগের সরকার। তারপর থেকে বাংলাদেশ গিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। অন্যদিকে হাসিনা দেশছাড়া হয়ে চলে এসেছেন ভারতে। এই ছাত্রজনতার আন্দোলনের সময়কালে হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে। সম্প্রতি, সেই মানবতাবিরোধী মামলায় হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ট্রাইবুনাল। হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশকর্তাকেও দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। হাসিনা ও আসাদুজ্জমানকে (প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। অন্যদিকে পুলিশকর্তা রাজসাক্ষী হওয়ায় তাঁকে ৫ বছরের কারাদন্ডের সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের ট্রাইবুনাল। হাসিনা ও আসাদুজ্জামান ফেরার। তাই তাঁদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী ঢাকা।
