‘বন্ধু ও শত্রু’ চিনতে ব্যর্থ ইউনুস সরকার – এর ফল তাদের ভুগতেই হবে

নিউজ ডেস্ক ::বিদেশ থেকে মহম্মদ ইউনুসকে উড়িয়ে এনে চেয়ারে বসানো নিয়ে প্রথমে নাগরিক মহলের মনে হয়েছিল যে – এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু পুরো ঘটনার স্ক্রিপ্টস যে আগের থেকেই লিখে রেখেছিলেন পাকিস্তানপন্থী ধৰ্মীয় মৌলবাদীরা – তা কিন্তু আন্দোলনরত ওই পড়ুয়ারা বুঝতে পারে নি। তাই শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ইউনুসকে বসানোয় তারা খুশি ছিল। কিন্তু পড়ে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ উপলব্ধি করছে যে তার আসলে ‘খাল কেটে কুমির এনেছে।’

বাংলাদেশের প্রগতিশীল ছাত্রসমাজের ‘কোটা বিরোধী আন্দোলন’ এখন হারিয়ে গেছে। এখন সামনে চলে এসেছে – ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী আন্দোলন। বাংলাদেশ প্রায় এক কোটি হিন্দুর বাস। এখন পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদীরা শ্লোগান দিচ্ছে – ‘ হিন্দুরা বাংলাদেশ ছাড়ো।’ জ্বলছে হিন্দুদের বাড়ি, লুঠ হচ্ছে হিন্দুদের দোকান, মাথা ফাটছে হিন্দুদের। আর ইউনুস বলছেন, বাংলাদেশ হিন্দুদের উপর আক্রমনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সবটাই মিডিয়ার চক্রান্ত। তাঁর মন্ত্রীসভার মন্ত্রীরা ভারতকে হুমকি দিয়ে মন্তব্য করছেন। তারা এখন পাকিস্তানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

ইতিহাস কি ভুলে গেছে বাংলাদেশের মানুষ? তাই ওই দেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন আবার মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস। তসলিমা লেখেন, “যে ভারতের ১৭ হাজার সৈন্য মারা গিয়েছিল বাংলাদেশকে তার শত্রু পাকিস্তানের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে, সেই মিত্র-ভারত নাকি আজ শত্রু। যে ভারত এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, খাইয়েছিল, পরিয়েছিল, সে ভারত নাকি আজ শত্রু। যে ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়েছে, অস্ত্র চালনা শিখিয়েছে পাকিস্তানী সেনাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য, সেই ভারত নাকি আজ শত্রু। আর যে পাকিস্তান দেশের ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিল, ২ লক্ষ মেয়েকে ধর্ষণ করেছিল, সেই পাকিস্তান নাকি আজ বন্ধু দেশ। যে পাকিস্তান জঙ্গি উৎপাদনে এক নম্বরে, সেই পাকিস্তান নাকি আজ বন্ধু। যে পাকিস্তান আজ অবধি একাত্তরের নৃশংসতার জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চায়নি, সেই পাকিস্তান নাকি আজ বন্ধু রাষ্ট্র!” তসলিমার কথায় যেমন আছে আবেগ ঠিক তেমনই আছে ঐতিহাসিক সত্য। বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসকেরা ভুলে গেছে – কে বন্ধু আর কে শত্রু!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *