নিউজ ডেস্ক ::এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের পোদ্দার পরিবার। মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্ততপক্ষে ৩০ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার এক প্রৌঢ়ের। ছেলে-মেয়ে ও বোনের সঙ্গে কুম্ভে গিয়েছিলেন কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার। জানা গিয়েছে, হুড়োহুড়ির মধ্যে আচমকাই পড়ে যান তিনি। আর উঠতে পারেননি। তাঁর ওপর দিয়েই চলে যায় হাজারও পা। প্রৌঢ়ের শরীর পিষে যায় হাজারও পায়ের চাপে। তাঁকে যতক্ষণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়, মৃত্যু হয় তাঁর। সেই প্রচন্ড দুঃখ ও যন্ত্রনা নিয়ে কলকাতায় ফিরলেন তাঁর পরিবার।
এলাকার কাউন্সিলার তপন দাশগুপ্ত তাদের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময়ে ঠিক কী হয়েছিল? বাসন্তীর মেয়ে জানিয়েছেন, মাকে আগলে নিয়েই চলছিলেন তাঁরা। কিন্তু আচমকা ভিড় বাড়তে থাকে। আর তা সামলাতে পারেননা নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রশাসনিক কর্মীরাও ভীষণভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড ভিড়ের চাপে ভাঙে ব্যারিকেড। ব্যারিকেড ভেঙে যাওয়ার পরই জনপ্লাবন। আর তারপরই তাঁর মা টাল সামলাতে পারেননি, পড়ে যান। কুম্ভমেলায় চরম অব্যবস্থার অভিযোগ এনেছেন তাঁর মেয়ে। তাঁর বক্তব্য, ইসকনের কয়েকজন এসে তাঁর মাকে তোলেন। কিন্তু প্রশাসনের কাউকে সে সময়ে পাওয়া যায়নি। ইস্কনের স্বেচ্ছা সেবকদের তাঁরা ধন্যবাদ জানান কিন্তু তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশানের উপর। মৃতার মেয়ে বলেন, “আমরা সবাই আহত। হঠাৎ করেই যেন পিছন থেকে ওরা আসতে শুরু করল। আসলে যা প্রচণ্ড চাপ আসছিল একটা সময়ে ব্যারিকেড ভেঙে যায়। কিন্তু ঘটনার সময়েই পুলিশ প্রশাসন কাউকে পাওয়া যায়নি। পুলিশি ব্যবস্থা ওখানে অত্যন্ত খারাপ, খুবই দেরিতে পৌঁছাচ্ছিল তারা।”
