নিউজ ডেস্ক ::মহাকুম্ভতে বুধবার একদম ভোর রাতে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যায়, তার দায় কি এড়াতে পারে উত্তর প্রদেশ সরকার! প্রথমত সকাল থেকেই হতাহতের সংখ্যা নিয়ে নীরবতা পালন করেছে পুলিশ। অথচ সন্ধ্যায় তারা বলে যে মৃতের সংখ্যা ৩০, আহত শতধিক। প্রশ্ন উঠেছে কেন এমন ঘটনা ঘটলো। পুলিশ কি জানতেন না যে মৌনী অমাবস্যায় কত মানুষ শাহী স্নানের আসছেন? এর উত্তর যদি -‘না’ হয় তাহলে তা পুলিশের ব্যর্থতা আর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলেও তা পুলিশের ব্যর্থতা। কেন পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারলো না?
মধ্যরাতে ব্যারিকেড টপকে মহাসঙ্গমে পৌঁছতে গিয়ে তৈরি হয় উত্তেজনা পরিস্থিতি।প্রশাসনিক বাধা ভেঙে সঙ্গমের দিকে পুণ্যস্নানে ছুটে চলে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী, হুড়োহুড়ি পদপিষ্ট হয় বেশ কয়েকজন। সকাল থেকেই ১০ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সন্ধ্যা গড়াতেই প্রকাশ্যে আসল তথ্য। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সূত্রে খবর, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন পুণ্যার্থীর। বেসরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। যদি মানুষকে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা পুলিশের না থাকে, তাহলে এতো মানুষকে ঢুকতে দিলো কেন? কেন ঢোকার আগে তাদের আটকানো হলো না?
হতাহতের পরিবারের অনেককেই বলতে শোনা গেছে, পুলিশ ব্যস্ত ছিল VIP-দের নিরাপত্তা দিতে। ফলে অবহেলিত হয়েছে সাধারণ মানুষ।
সরকার ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা দেবার কথা ঘোষণা করেছে। মৃত্যুর পরে অনুদানের থেকে মৃত্যুর আগে সচেতন হলে এই মৃত্যুর মিছিল আমাদের দেখতে হতো না।
ডিআইজি বুধবার সন্ধ্যা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, আখরার আশেপাশের এলাকা ব্যারিকেড করা ছিল, এবং এই ব্যারিকেডগুলি ভেঙে যায় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেয এরফলেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। স্নানের এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের জন্যই কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে গেছে। মানুষ সেখানে শুয়ে অমৃত স্নানের জন্য ‘ব্রহ্মমুহুর্তে’ অপেক্ষা করছিলেন। ভিড় তাদের উপর দিয়ে ছুটে গেল দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু উত্তরহীন প্রশ্ন আবার সামনে আসলো – কেন পুলিশ এতো মানুষকে একসঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গম ঢোকার অনুমতি দিলো?
