নিউজ ডেস্ক ::বিমান ওড়ার আগে অবধি ঠিকঠাক থাকলেও , বিমান উড়তেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়ে যায় গর্ভবতী মহিলার। সঙ্গে সঙ্গে কেবিন ক্রু-দের ডেকে তিনি বলে , খুব কষ্ট হচ্ছে। কেবিন ক্রু সদস্যদের একজন নিজেও একজন মা। সহজেই বুঝে যান, এ ব্যথা সাধারণ ব্যথা নয়, গর্ভ যন্ত্রণা। বিমানে ছিলেন সদ্য স্নাতক ডিগ্রিপ্রাপ্ত এক নার্স। কেবিন ক্রু জেনিফার দেরি করেননি। স্থির করে ফেলেন পরবর্তী পদক্ষেপ। অবতরণ করার সময় ছিল না। সুযোগও ছিল না। অতএব যা করার বিমানের মধ্যেই করতে হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই মহিলার ওয়াটার ব্রেক শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ আমনিওটিক ফ্লুইড লিক করা শুরু হয়।
পরিস্থিতি বুঝে পাইলটরা স্থির করেন ডাকার বিমানবন্দরেই ফিরে যাবেন। ক্রমেই বাড়ছিল টেনশন। কী হয় কী হয়। সাহস করে দাঁড়ান কেবিন ক্রু জেনিফআরই। ডাকার থেকে ব্রাসেলস যাচ্ছিল বিমানটি । পাইলটরা ডাকারে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পৃথিবীতে আসতে চলা শিশুটির পরিকল্পনা একটু আলাদাই ছিল। তাই কেবিন ক্রু ও ফ্লাইটে থাকা আরেক নার্সের সহায়তায় সেখানেই প্রসব করানো হয় মহিলার। ডাকারে পৌঁছানোর আগেই পৃথিবীর আলো দেখে যাত্রীর সন্তান। বিমানের সব যাত্রীর কানে পৌঁছায় সদ্যোজাতর প্রথম কান্না। সে এক অনাবিল আনন্দের অভিজ্ঞতা, বলেছেন বিমানযাত্রীরাই। আর সন্তান প্রসব করানোর পর কেবিন ক্রু-র প্রতিক্রিয়া, ‘ আমি যদি কেবিন ক্রু সদস্য না হতাম, তাহলে আমার মনে হয় আমি একজন ধাত্রী হতাম।’ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি।
