নিউজ ডেস্ক ::পুরুলিয়ার আদিবাসীদের অন্যতম উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমায় শিকার উৎসব। কিন্তু পশু শিকার এখন নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে সচেতনতার বার্তা নিয়ে উপস্থিত হল বনবিভাগ । চিরাচরিত রীতি মেনে বৈশাখী পূর্ণিমার রাত্রে অযোধ্যা পাহাড় জুড়ে শিকার হয়ে থাকে। শিকার উৎসব বা দিসুম সেন্দ্রা হল সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এ-বছর ১২ মে অর্থাৎ বৌদ্ধ পূর্ণিমার দিন শিকার উৎসব পালিত হবে। আর এই উৎসবের বন ও বন্যপ্রাণদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য অভিনব প্রচার শুরু করল বনবিভাগ। বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তা দিয়ে ঝালদা শহরের কাছে মসিনা গ্রামে অভিনব পদযাত্রার আয়োজন করা হয় বনবিভাগের ঝালদা রেঞ্জের পক্ষ থেকে।
ছৌ নৃত্যের মাধ্যমে একেবারে অভিনব কায়দায় রঙিন প্রচার করা হয়। এই প্রচারে পামেলায় মসিনা সত্যভামা বিদ্যাপীঠ নিম্ন বুনিয়াদির কচি-কাচারা। এছাড়াও এলাকার বহু মানুষ এই প্রচারে অংশ নেন। পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। সেই প্ল্যাকার্ডের প্রতিটি জায়গাতেই বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বার্তা ছিল। এছাড়াও জঙ্গলে আগুন যাতে না লাগে সেই বার্তাও দেওয়া হয়। বনদফতরের একটাই বার্তা, বন্যপ্রাণ শিকার নয় উৎসবে মেতে উঠুন। এ বিষয়ে ঝালদা রেঞ্জার অপূর্ব মহান্তি বলেন, এই সময় বনাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তাই মানুষ যাতে সচেতন থাকে যাতে জঙ্গলের কোনও ক্ষতি না হয় সেই কারণেই এই বিশেষ বার্তা প্রদান। এরই পাশাপাশি শিকার উৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে পালিত হয় সেই কারণেই মানুষকে সচেতন করা হল।
